Dulal Sarkar Death:'প্রাণনাশের আশঙ্কা করছি, এখনও যায়নি চোখরাঙানি' বিস্ফোরক দুলাল সরকারের স্ত্রী
Dulal Sarkar Death Update: নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী ফের দাবি করেছেন, রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের জন্যই খুন করা হয়েছে মালদার সহ সভাপতি ও ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুলাল সরকারকে।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, মালদা: ১ বা ২ জন নয়, আছে আরও কিছু মাথা, তৃণমূল নেতা খুনের ৭ দিনের মাথায় এমনটাই অভিযোগ করলেন তাঁর স্ত্রী। নিহত তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের স্ত্রীর অভিযোগ, খুনের আগে দেওয়া হত চোখরাঙানি। চৈতালি সরকার সাফ জানিয়েছেন, তালিকা দেব পুলিশের হাতে, জানাব দলনেত্রীকেও।
মালদায় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনের ৬ দিনের মাথায় গ্রেফতার হয়েছেন দলেরই আরেক নেতা, নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। পুলিশের জালে ধরা পড়েছে আরও ৬ জন। কিন্তু তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নেতার খুনের নেপথ্যে মূল চক্রী কে? খুনের মোটিভই বা কী? সেনিয়ে যখন রহস্য জোরালো হচ্ছে, তখন ফের চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী, যিনি নিজেও ইংরেজবাজার পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী চৈতালি সরকার বলেন, "এখানে আমার যতদূর ধারণা আরও কিছু মাথা রয়েছে, যারা একসঙ্গে বসে এই চক্রান্ত করেছে। নইলে দুলালবাবুর মতো মানুষকে এইভাবে মারাটা সম্ভব ছিল না। আমি সবসময়েই দেখতাম নেতৃত্ব একজন বা এরাও সবসময় একটা চোখরাঙানির একটা চেষ্টা চলত। তারা মনে হচ্ছিল, তারা ভাবছিল হয়তো যে দলের বিভিন্ন পদ বা বিভিন্ন জায়গাতে যেই জিনিসগুলো উঠে আসছিল, যে তাকে আগামীদিনে, তিনি বিগত দিনে যেমন সভাপতি ছিলেন এবং তিনি বিভিন্ন প্রশাসনিক বা সরকারি পদেও বিভিন্ন সময়ে ছিলেন, সেই জায়গাগুলোতে আবার তিনি যেন না আসতে পারেন সেটাও তাদের একটা লক্ষ্য ছিল। মানুষের কাছ থেকে শুনেছি। আমাদের একটু ভয়ের কারণ রয়েছে, সেই সমস্ত কথাবার্তা শুনে। আমাদের নিরাপত্তার একটা চিন্তা তো রয়েছেই। সেই চোখরাঙানিটা এখনও যায়নি সেসব মানুষের। তবে তাদের এতটা বড় ঘটনা ঘটানো উচিত ছিল না।
দুলাল সরকারের খুনে গ্রেফতারির পর 'বড় মাথার' কথা শোনা গিয়েছিল ধৃত শহর সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির মুখেও। নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলে, "বড় মাথার শিকার। বড় মাথার শিকার বাবলা হয়েছে। বড় মাথার শিকার আমি হলাম।'' এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মালদার তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি দুলাল ওরফে বাবলা সরকার খুনে মূল চক্রী তাঁর একদা বন্ধু ও একই পাড়ার বাসিন্দা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কুখ্যাত দুষ্কৃতী স্বপন শর্মা। তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের জন্য দেওয়া হয়েছিল ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি।