খালের কালভার্টে বড়সড় গর্ত, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হতে পারে দমদম রোডের একাংশ
গর্ত মেরামতি না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে রাস্তার এই অংশ।
দমদম: বাগজোলা খালের কালভার্টে তৈরি হয়েছে বড়সড় গর্ত। আজ থেকেই ওই অংশ ঘিরে ফেলায় রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় দমদম রোড ও যশোর রোডে প্রবল যানজটের আশঙ্কা। পুলিশ সূত্রে খবর, যানজট এড়াতে রাত থেকে দমদম স্টেশন থেকে নাগেরবাজার মোড় পর্যন্ত দমদম রোডের একাংশে বাস ও পণ্যবাহী ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গর্ত মেরামতি না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে রাস্তার এই অংশ। এরই মধ্যে বাগজোলা খালের কালভার্টে ফুট ওভারব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হবে। বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দমদম রোডের ওই অংশে যাতায়াতের জন্য অটোই ভরসা যাত্রীদের।
গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় যানজটের সমস্যা দীর্ঘদিনের। রাস্তা দখলমুক্ত করতে অভিযান চালাল পুলিশ। গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার ওপর তৈরি হয়েছে অস্থায়ী দোকান। এর পাশাপাশি, ওই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক বাস। এর ফলে সংকীর্ণ রাস্তায় যানজট নিত্যদিনের ঘটনা। ওই রাস্তায় হাঁটাচলাই দায়। ওই এলাকা যানজট মুক্ত করতে এদিন সোনারপুর ট্রাফিক গার্ডকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। উচ্ছেদ করা হয় অস্থায়ী দোকান মালিকদের। বাসচালকদের সতর্ক করা হয়।
উল্লেখ্য, মহরম উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ভারী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে কলকাতা পুলিশ। আজ বিকেল ৪টে থেকে শনিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত শহরে ঢুকতে পারবে না পণ্যবাহী গাড়ি। মহরমের শোভাযাত্রা বের হওয়ার কারণে প্রয়োজনে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে অন্যান্য যান। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
ভরা বর্ষায় হাওড়া শহর এলাকার রাস্তাঘাট একেবারেই ভেঙে গিয়েছে। অনেক জায়গার রাস্তায় বড় বড় চাঙড় উঠে গিয়েছে। রাস্তায় দেখা দিয়েছে বড় বড় গর্ত। গাড়ি চলাচল থেকে হাঁটা-চলা, সবেতেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। রাস্তার এই অবস্থাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের অভিযোগ, হাওড়া পুরসভাকে বারবার জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় দুর্ঘটনা বাড়ছে।
পুরসভা থেকে পুজোর আগে সব রাস্তা সারানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফি বছর বর্ষায় হাওড়া পুরসভা এলাকায় রাস্তাঘাট যানবাহনের চাপে ভেঙে যায়। শহরের প্রধান রাস্তাগুলিতে অনেক জায়গায় চাঙড় উঠে গেছে। রাস্তায় খানাখন্দ ও ছোট বড় গর্তে ভরে গেছে। ওইসব গর্তে জল জমে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।