Durga Puja 2025: সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজোর থিম 'অপারেশন সিঁদুর' শুনেই পুলিশের নোটিস ? সজলের দাবি নিয়ে কী বলল লালবাজার ?
Kolkata Police: লালবাজারের দাবি, ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ১৪ তারিখ প্রথম পুজো উদ্যোক্তাদের নোটিস পাঠানো হয়। পুজো উদ্যোক্তারা উত্তর না দেওয়ায় গতকাল ফের নোটিস পাঠানো হয়।
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : পুজোর থিম 'অপারেশন সিঁদুর'। এই ঘোষণা করার পরেই কলকাতা শহরের বড় পুজো কমিটি হিসাবে শুধুমাত্র তাদেরই নোটিস করা হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই নোটিস বলে অভিযোগ তুলেছেন সজল ঘোষ। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তা বিজেপি নেতা। তাঁর অভিযোগ, এ বছর তাঁদের পুজোর থিম অপারেশন সিঁদুর, এই ঘোষণা করার পরেই পুলিশের তরফে ক্রাউড ম্যানেজমেন্টের কথা বলে নোটিস দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি নেতার অভিযোগ, কলকাতা পুলিশ বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। যদিও লালবাজারের দাবি, ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ১৪ তারিখ প্রথম পুজো উদ্যোক্তাদের নোটিস পাঠানো হয়েছিল। পুজো উদ্যোক্তারা উত্তর না দেওয়ায় গতকাল ফের নোটিস পাঠানো হয়। সুষ্ঠুভাবে মানুষ যাতে ঠাকুর দেখতে পারেন ও ক্রাউড ম্যানেজমেন্টের জন্য নোটিস। অপারেশন সিঁদুর' থিমের জন্য কোনও নোটিস পাঠানো হয়নি। তাছাড়া গত বছর সেখানে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশ হিমশিম খেয়েছিল, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তাই এই নোটিস।
যদিও সজল ঘোষ বলছেন, "পুলিশ তাহলে দুটো জিনিস মেনে নিক যে, শুধু কলকাতায় আমাদেরই পুজো হয়। অথবা আমাদের পুজোতেই শুধু ভিড় হয়। বাকি পুজোয় ভিড় হয় না। এই যে চিঠিটা দেওয়া হয়েছে, আমার ধারণা, কলকাতা শহরে বাকি যত বড় বড়- নামকরা পুজো আছে...কারো পুজোয় এই চিঠি গেছে বলে আমার জানা নেই। অপারেশন সিঁদুর নামটা শোনার পরই যাঁদের সিঁদুরে অ্যালার্জি তাঁদের নির্দেশ এসে গেছে।"
পাল্টা তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, "এর আগে যখন দেশপ্রিয় পার্কে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্গা হয়েছিল তখন কি ওর পিছনে কোনও বিজেপি নেতা ছিলেন যে পুজোটা পঞ্চমীর দিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ? আসলে সজল ঘোষ এবং বর্তমান ভারত সরকার গোটা ভারতে কিছুই সামলাতে পারছে না। সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গেও যেন এমন কোনও ঘটনা ঘটে, পুলিশ যদি কোনও পদক্ষেপ নেয়, সেটার রাজনৈতিক বিরোধিতা তাদের করতে হবে। মহাকুম্ভ আয়োজন করতে গিয়ে শুধু যদি নিরাপত্তার ব্যবস্থা ঠিকঠাক করা হত তাহলে ১০০ জনের উপর সাধারণ ভক্তদের কি হারাতে হত ? হত না তো ! আমরা তো কোনও দিন চাইব না, যে ঘটনা বেঙ্গালুরুতে সেলিব্রেশনের সময় হল কদিন আগে, যে ঘটনা কুম্ভে হল কয়েকদিন আগে, আমরা তো চাইব না সেই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে হোক । কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর দুর্গাপুজো বিশ্ব মানচিত্রে একটা অন্যরকম জায়গা পেয়েছে। সৌভাগ্যবশত, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে কোনও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা আজ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ঘটেনি। ফলে, পুলিশ যদি প্রিভেন্টিভ স্টেপ নেয় বা ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ক্লাবের সঙ্গে কোনও আলোচনা করতে চায় বা নোটিস দেওয়া হয়, সেটা তো সুস্বাগত জানানো উচিত। এটার মানে রাজনৈতিক বিরোধিতা কেন মনে করছেন তাঁরা ? যদি ওই পুজোয় কোনও ঘটনা ঘটে, তার দায় কি পরবর্তীকালে সজল ঘোষকে নিতে হবে না ? তখন কি সজল ঘোষ গ্রেফতার হবেন না ? তাঁকে কি প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে না ?"
সেরা শিরোনাম
