Durgapur Kidnap: প্রণয়ঘটিত কারণ? ভর সন্ধেয় মহিলাকে অপহরণের চেষ্টা
অন্যান্য দিনের মতো অফিস থেকে বেরিয়ে সহকর্মীর সঙ্গেই বাড়ি ফেরার গাড়ির জন্য হাঁটতে শুরু করেছিলেন। সহকর্মী একটু এগিয়ে যেতেই রুদ্ধশ্বাসে ধেয়ে আসে একটা গাড়ি। নামেন কয়েকজন।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: দুর্গাপুর সিটি সেন্টার (City Center) এলাকায় ই-কমার্স সংস্থার মহিলা কর্মীকে গাড়িতে তুলে অপহরণের (Kidnap) অভিযোগ। এক কিলোমিটার দূরে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে অপহৃত মহিলাকে উদ্ধার করল দুর্গাপুর (Durgapur) থানার পুলিশ। গ্রেফতার ১। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রণয়ঘটিত কারণে মহিলাকে অপহরণ করা হয়। ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
ঠিক কী হয়েছিল? অন্যান্য দিনের মতো অফিস থেকে বেরিয়ে সহকর্মীর সঙ্গেই বাড়ি ফেরার গাড়ির জন্য হাঁটতে শুরু করেছিলেন। সহকর্মী একটু এগিয়ে যেতেই রুদ্ধশ্বাসে ধেয়ে আসে একটা গাড়ি। নামেন কয়েকজন। অভিযোগ, কিছু বুঝে উঠার আগে জোর করে তুলে নেওয়া হয় গাড়িতে।
দুর্গাপুর সিটি সেন্টার এলাকায় ই-কমার্স সংস্থার মহিলা কর্মীকে গাড়িতে তুলে অপহরণের অভিযোগ। এক কিলোমিটার দূরে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ভিড়িঙ্গি মোড় থেকে অপহৃত মহিলাকে উদ্ধার করল দুর্গাপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মহিলার চিৎকারে অন্যান্যরা ছুটে এলেও ততক্ষণে চলে যায় গাড়িটি। এরপর খবর দেওয়া হয় দুর্গাপুর থানার পুলিশকে। সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে গাড়িটিকে ট্র্যাক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, টহলরত পুলিশ ভ্যান দেখে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে অপহৃত মহিলাকে ফেলে পালিয়ে যায় ৪ জন। মহিলাকে উদ্ধারের সময় গাড়িতে ছিলেন শুধু চালক। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
কী কারণে এই ঘটনা? প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রণয়ঘটিত কারণে মহিলাকে অপহরণ করা হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, জয় পাসোয়ান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মহিলাকে অপহরণের ছক কষে জয়। অপহরণের পর বিহারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। ভরসন্ধের এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে নারী নিরাপত্তা। পুলিশ সূত্রে খবর, পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
ব্যবসায়ীকে অপহরণ: দিল্লি থেকে আসা ব্যবসায়ীকে ইডেন গার্ডেন্স এলাকা থেকে অপহরণ করে একসপ্তাহ ধরে আটকে রাখার অভিযোগ। অপহরণকারীদের ডেরায় থাকাকালীন কোনওভাবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের ফোন নম্বর জোগাড় করে উদ্ধারের জন্য অনুরোধ জানান অপহৃত ব্যবসায়ী। মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে আনন্দপুর থানার পুলিশ। ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব্যবসায়িক বিবাদের জেরেই অপহরণ বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২২ দিন আগে ব্যবসার কাজে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, ব্যবসা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে একসপ্তাহ আগে ইডেন গার্ডেন্স এলাকা থেকে তাঁকে অপহরণ করে ৪ জন। অপহৃত ব্যবসায়ীকে ২ দিন হোটেল ও পরে মাদুরদহের একটি স্টোর রুমে আটকে রাখা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল কোনওভাবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের নম্বর জোগাড় করে উদ্ধার করার জন্য বার্তা পাঠান ওই ব্যবসায়ী। এরপরই লালবাজারের তরফে বিষয়টি আনন্দপুর থানায় জানানো হয়।
অপহরণকাণ্ডের কিনারা: বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার অপহরণকাণ্ডের কিনারা। তিলজলা রোডের বাসিন্দা, ২ অপহৃত ছাত্রকে উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল সকালে এক ব্যক্তি বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ করেন, পুরনো বিবাদের জেরে প্রতিবেশী মহম্মদ রফিক, তাঁর ২ ছেলেকে অপহরণ করেছে। অপহৃতদের মধ্যে একজন নাবালক। তদন্তে নেমে পুলিশ ভাঙড় এলাকার একটি বাড়ি থেকে অপহৃত ২ জনকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত সহ ৪ জনকে।উদ্ধার হয়েছে অপহরণে ব্যবহৃত গাড়ি।