Durgapur: ত্রিকোণ প্রেমের জেরে বচসা, বন্ধুকে পাথরখাদানে নিয়ে গিয়ে খুন!
ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে অনিল ভুঁইয়ার সঙ্গে একটি মেয়ের সম্পর্ক ছিল। এ দিকে সেই মেয়েটিকেই বিয়ে করতে চাইছিল আকাশ।

মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: পাথরখাদানে বন্ধুকে নিশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠল আরও এক বন্ধুর বিরুদ্ধে। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুর্গাপুরের পারুলিয়ার ড্যামপাড়ার ঘটনা। বুধবার সন্ধ্যায় এই এলাকা থেকে হাত, পা, বাঁধা এবং গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় এক যুবকের দেহ। জানা যায়, বছর ২০-র ওই যুবকের নাম অনিল ভূঁইয়া। এর পরেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত অনিল ভূুঁইয়ার প্রিয় বন্ধু ছিল আকাশ ভুঁইয়া। বন্ধুত্বের গভীরতা এতটাই ছিল যে, অনিলের হাতে আকাশের নাম আর আকাশের হাতে অনিলের নাম লেখা ট্যাটুও করা ছিল। কিন্তু কী এমন ঘটল যার জেরে খুন বন্ধুকে খুন করতে বাধ্য হলেন ওপর বন্ধু? প্রাথমিক তদন্তে প্রেম ঘটিত কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে, মনে করা হচ্ছে ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই এক বন্ধুকে খুন করেন অন্য বন্ধু।
ঠিক কী ঘটেছে? অনিল ভুঁইয়ার সঙ্গে একটি মেয়ের সম্পর্ক ছিল। এদিকে সেই মেয়েটিকেই বিয়ে করতে চাইছিল আকাশ। আর এই নিয়ে নিয়েই অনিল ও আকাশের মধ্যে বিবাদ চলছিল। বুধবার সকালে ভুল বুঝিয়ে অনিলকে নিয়ে যায় আকাশ। তারপরেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পারুলিয়ার পাথর খাদানের পাশে দু'জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেই বচসা চরম পর্যায়ে পৌঁছতেই অনিলের হাত পা বেঁধে গলায় কালো কাপড় দিয়ে শ্বাস রোধ করে খুন করে আকাশ ভুঁইয়া।
তার পরেই অন্ডালের বহুলায় দিদির বাড়িতে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত বন্ধু। সেখান থেকেই বুধবার রাতে আকাশ ভুঁইয়াকে গ্রেফতার দুর্গাপুর থানার পুলিশ। পুলিশি হেফাজত চেয়ে ধৃতকে তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। মৃত যুবকের মা সীতা ভুঁইয়ার অভিযোগ, 'তাঁর ছেলে অনিলের আকাশ ভুঁইয়ার সঙ্গে মাঝেমধ্যে বিবাদের ঘটনাও ঘটত।
কিছুদিন আগে আকাশ অনিলের স্মার্টফোন ভেঙে দেয়। সেই রাগে অনিলও তার বন্ধু আকাশের মোবাইল ভেঙে দেয়। তার পর থেকে আকাশ এবং আকাশের পরিবারের লোকজন অনিলের মাকে এবং অনিলকে রীতিমত হুমকি দিত বলেও অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছুদিন আকাশের সঙ্গে অনিলের কথাবার্তাও বন্ধ ছিল।
অনিল বিয়ের করার জন্য দিনমজুরের কাজ করে অর্থ সঞ্চয় করছিল। তাঁর মায়ের অভিযোগ, 'অনিলকে রীতিমত বিয়ে না করার জন্য চাপ দিত বন্ধু আকাশ। বুধবার সকালে পাথর খাদানে অনিল দিনমজুরের কাজে বেরোচ্ছিল। তখনই ভুল বুঝিয়ে আকাশকে নিয়ে যায় অনিল। সন্ধেতে খবর আসে পারুলিয়া সংলগ্ন পাথর খাদনে অনিলকে খুন করে ফেলা হয়েছে।' সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত বন্ধু আকাশ ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।






















