Durgapur News: দুর্গাপুরকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া নির্যাতিতার সহপাঠীর ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের
Durgapur Case: দুর্গাপুরে এমবিবিএস পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই নজরে ছিলেন নির্যাতিতার এক সহপাঠী, যাঁর সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে বেরোতে দেখা যায় তাঁকে।

পার্থপ্রতিম ঘোষ, দুর্গাপুর : দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। গতকাল নির্যাতিতার সহপাঠী গ্রেফতার হয়েছিলেন। আজ আদালতে পেশ করা তাঁকে। দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে ধৃতকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত নির্যাতিতার সহপাঠীর ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ধৃতের মেডিক্যাল লিগ্যাল এক্সামিনেশ বা মেডিকো লিগাল টেস্ট করতে চায় পুলিশ। ২২ তারিখ পর্যন্ত ধৃতের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দুর্গাপুরকাণ্ডে এর আগেই ৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ।
দুর্গাপুরে এমবিবিএস পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই নজরে ছিলেন নির্যাতিতার এক সহপাঠী, যাঁর সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে বেরোতে দেখা যায় তাঁকে। প্রথম থেকেই এই তরুণের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা। গোটা ঘটনায় তাঁর যোগ থাকতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। পুলিশও শুরু থেকেই এই তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। জেরার সময় তরুণের বয়ানে ছিল একাধিক অসঙ্গতি। এরপরেই পুলিশ গ্রেফতার করে নির্যাতিতার সহপাঠী ওয়াসেফ আলিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার পরই তদন্তকারীদের হাতে এসেছে বেশ কিছু নতুন তথ্য।
মেডিক্যাল কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ আগেই সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সেখানে দেখা গিয়েছে, শুক্রবার অর্থাৎ ঘটনার দিন ৭.৫৮ মিনিটে ওয়াসেফের সঙ্গে বাইরে বেরোন নির্যাতিতা। রাত ৮.৪২: ক্যাম্পাসে একাই ফিরে আসেন ওয়াসেফ। রাত ৮.৪৮: ফের ক্য়াম্পাস থেকে বেরোতে দেখা যায় ওয়াসেফকে। এর ৪১ মিনিট পর ক্যাম্পাসে একসঙ্গে ঢোকেন নির্যাতিতা ও ওয়াসেফ আলি। গোড়া থেকেই নির্যাতিতার সহপাঠীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন নির্যাতিতার বাবা। গতকালও সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। পুলিশও গোড়া থেকেই সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। তাঁর ভূমিকা যে সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়, সে কথা জানিয়ে আসছিল পুলিশ। গতকাল গ্রেফতারির আগে সন্ধ্য়ায় সাংবাদিক বৈঠকেও একই কথা জানান আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধরী।
শুরু থেকেই সন্দেহের তালিকায় ছিল দুর্গাপুরের নির্যাতিতা মেডিক্যাল পড়ুয়ার সহপাঠী। পুলিশ সূত্রে দাবি, মালদার বাসিন্দা MBBS পড়ুয়া ওয়াসেফ আলির বক্তব্যে অসঙ্গতি ছিল। বন্ধুকে ওই পরিস্থিতিতে ফেলে রেখে কেন তিনি চলে গিয়েছিলেন? ক্যাম্পাসে গিয়ে কেন কাউকে ঘটনার কথা জানালেন না? পুলিশেই বা খবর দিলেন না কেন? সে নিয়েও প্রশ্ন ছিল। দুর্গাপুরের IQ সিটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে মোহনবাগান অ্যাভিনিউ ধরে কিছুটা এগোলেই পরাণগঞ্জের ঘটনাস্থল। দূরত্ব মেরেকেটে ১.১ কিলোমিটার। শুক্রবার রাতে ঠিক কী হয়েছিল? জানতে করা হল ঘটনার পুনর্নির্মাণ। গতকাল এক অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার সহপাঠীকে নিয়ে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। দুর্গাপুরের IQ সিটি মেডিক্যাল কলেজ ঘটনাস্থলে যেতে কত সময় লাগে? গোটা রাস্তা হেঁটে দেখেন তদন্তকারীরা। গতকালই ২ অভিযুক্তকে নিয়ে বিজড়া গ্রামে তাদের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। ঘটনার দিনে পরে থাকা পোশাক, ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।






















