Durgapur Molestation : নির্যাতনের ঘটনায় কীভাবে জড়িয়ে সহপাঠী? কোন বড় ফাঁক কথায়? কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে খাবি খেল ওয়াসেফ?
Durgapur : 'সন্দেহ আছে। হতে পারে। হতে পারে। হয়তো ও এর সঙ্গে জড়িত থাকতেও পারে। তার বন্ধুও থাকতে পারে।' বলেছিলেন নির্যাতিতার বাবা।

শুরু থেকেই সন্দেহের তালিকায় ছিলেন । দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে মঙ্গলবার গ্রেফতার হলেন নির্যাতিতার সেই সহপাঠী। জিজ্ঞাসাবাদে স্পষ্ট হয়ে গেল তাঁর কথাবার্তার ফাঁক। পুলিশের চোখকে ধুলো দিতে পারলেন না। ওয়াসেফ আলিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রথম থেকেই এই সহপাঠীর ভূমিকায় নিয়ে সন্দেহ ছিল নির্যাতিতার বাবার। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের সামনে., তিনি বারবারই বুঝিয়ে দিয়েছেন, সহপাঠীরও ভূমিকা থাকতে পারে। 'সন্দেহ আছে। হতে পারে। হতে পারে। হয়তো ও এর সঙ্গে জড়িত থাকতেও পারে। তার বন্ধুও থাকতে পারে।' বলেছিলেন নির্যাতিতার বাবা।
একবার দেখে নেওয়া যাক, এই সহপাঠীকে ঠিক কী কী করতে দেখা গিয়েছে সেদিন, যা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। শুক্রবার সন্ধে ৭টা ৫৮ মিনিট নাগাদ, ওই সহপাঠীর সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বেরোন নির্যাতিতা। পুলিশ সূত্রে দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতিতার সহপাঠী জানিয়েছেন, তারা রাতের খাবার খেতে বেরিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, শুরু থেকেই তাঁদের পিছু নেয় ৩ অজ্ঞাত পরিচয় যুবক। তাঁর দাবি অনুসারে, মোহনবাগান অ্যাভিনিউয়ে ৩ জন পথ আটকে দাঁড়ালে পরিস্থিতি বুঝে পালিয়ে যায় সহপাঠী। তরুণীকে টেনে নিয়ে যায় জঙ্গলে। এরপর আবার সিসিটিভি-তে ধরা পড়ে , রাত ৮টা ৪২ মিনিটে ক্যাম্পাসে একাই ফিরে আসছেন নির্যাতিতার সহপাঠী। এরপর নাকি নির্যাতিতার মোবাইল থেকে ফোন পেয়ে আবার ৮.৪৮ নাগাদ সেই সহপাঠী সেখানে বেরিয়ে যান। এর ঠিক ৪১ মিনিট পর, দেখা যায় ক্যাম্পাসে একসঙ্গে ঢুকছেন নির্যাতিতা এবং তাঁর সহপাঠী।
মঙ্গলবার নির্যাতিতা ছাত্রীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁর সহপাঠীকেও। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার সহপাঠীর বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি মেলে। তার ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার সহপাঠীকে বুধবার আদালতে পেশ হচ্ছে। এদিন মেডিক্যাল পরীক্ষার পর আদালতে তোলা হবে ধৃত সহপাঠীকে। দুর্গাপুর কাণ্ডের পর থেকে তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। অসঙ্গতির জেরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে, দাবি পুলিশ সূত্রে।
পুলিশ সূত্রে দাবি, মালদার বাসিন্দা MBBS পড়ুয়া ওয়াসেফ আলির বক্তব্যে অসঙ্গতি ছিল। বন্ধুকে ওই পরিস্থিতিতে ফেলে রেখে কেন তিনি চলে গিয়েছিলেন? ক্যাম্পাসে গিয়ে কেন কাউকে ঘটনার কথা জানালেন না? পুলিশেই বা খবর দিলেন না কেন? সে নিয়েও প্রশ্ন ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, এসব প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।






















