Duttapukur Incident: দত্তপুকুর কাণ্ডের জের! সাসপেন্ড নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি
North 24 Parganas: প্রথমে তাঁকে ক্লোজ করা হয়, তারপরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
সমীরণ পাল, দত্তপুকুর, উত্তর ২৪ পরগনা: নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি হিমাদ্রি ডোগরা সাসপেন্ড। ক্লোজ করে নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসিকে সাসপেন্ড। বেআইনি বাজি কারখানা নিয়ে নির্দেশ অমান্য করায় শাস্তি, খবর সূত্রের। দত্তপুকুর (Duttapukur) থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নতুন ওসি সঞ্জয় বিশ্বাস। সাসপেন্ড করা হয়েছে দত্তপুকুর থানার আইসি-কেও।
প্রথমে তাঁকে ক্লোজ করা হয়, তারপরে তাঁকে সাসপেন্ড (Police Suspend) করা হয়েছে। নীলগঞ্জ এলাকায় বহু বাজি তৈরির কারখানা রয়েছে। এখানে বহু মানুষের রুটিরুজি বাজি তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এই এলাকাতেই বেআইনি বাজি তৈরির কারখানা চলার অভিযোগ উঠেছে বারবার। কোথাও বাজি তৈরির আড়ালে বিস্ফোরক তৈরির কাজও চলছিল বলে অভিযোগ। এই এলাকায় কড়া নজরদারির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জেলা পুলিশের তরফে। কোথাও বেআইনি বাজি বা বোমা তৈরি করা হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, ওই ওসি সেই নির্দেশ ঠিকমতো পালন করেননি। সেই কারণেই তাঁকে ক্লোজ করে সাসপেন্ড করা হয়।
এদিনই টিএমসিপির সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছেন, 'বিভিন্ন জেলার থানায় থানায় পুলিশরা কী করছেন, সব নজরে আছে। আমরা নজরে রাখছি কে কী করছেন না করছেন।' দত্তপুকুরকাণ্ডের পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এইভাবেই সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯। বেআইনি বাজি কারবারি কেরামত আলির পর এবার মৃত্যু হল তার আরেক অংশীদার সামসুল আলি ওরফে খুদের। গতকাল এই খুদের বাড়িতেই বিস্ফোরণ হয়। তার বাড়িতেই বাজি ও বাজির মশলা মজুত করা হত। বিস্ফোরণে ঝলসে যায় সামসুলও। গতকাল রাতে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বাজি কারবারি কেরামত আলি ও তার ছেলে রবিউলেরও মৃত্যু হয় বিস্ফোরণে। আজ সকালে বিস্ফোরণস্থলের অদূরেই মেলে একটি মুণ্ডহীন দেহ। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে দেহাংশ। ফলে দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নীলগঞ্জ থেকেই বেআইনি বাজি কারবারের অন্যতম মালিক গ্রেফতার। একের পর এক ড্রাম ভর্তি রাসায়নিক! ইটের ভাটায় কীসের গবেষণাগার? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে বিস্ফোরণস্থলে এনআইএ। সূত্রের খবর, বাজির মশলার সঙ্গে মজুত ছিল প্রচুর অ্যামেনিয়াম নাইট্রেট।
এদিনও উত্তপ্ত গোটা এলাকা। ওই বিস্ফোরণের ঘটনার পরেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বারবার পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা। এদিনও পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পেঁয়াজ-আলুর গুদামে বস্তা বস্তা বাজি জমিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ লক্ষ চাকরি! নিয়োগ নিয়ে বড় আশ্বাস মমতার