CPM : বর্ধমানে ধুন্ধুমারকাণ্ডে গ্রেফতার সমস্ত সিপিএম নেতা-কর্মীর জামিন
Burdwan : সেদিনের ঘটনার জেরে গ্রেফতার ৫২ জন সিপিএম নেতা-কর্মীদের মধ্যে ৫১ জনের জামিন। নেতা-কর্মীরা জামিনে মুক্ত হওয়ার পর বর্ধমান শহরে মিছিল করেন বাম সমর্থকরা।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান : গতমাসের শেষে বর্ধমানে ধুন্ধুমারকাণ্ডের (Chaos in Burdwan) পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার থাকা আরও ৩১ জনের জামিন মঞ্জুর করল বর্ধমান আদালত (Burdwan Court)। জামিন-প্রাপকদের তালিকায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান এসএফআই জেলা কমিটির সম্পাদক অর্নিবাণ রায়চৌধুরীও। যার ফলে, সেদিনের ঘটনার জেরে গ্রেফতার ৫২ জন সিপিএম (CPM) নেতা-কর্মীদের মধ্যে ৫১ জনই জামিন পেয়ে গেলেন। নেতা-কর্মীরা জামিনে মুক্ত হওয়ার পর বর্ধমান শহরে মিছিল করেন বাম সমর্থকরা।
বর্ধমানে ধুন্ধুমার
দুর্নীতিগ্রস্তদের গ্রেফতারি, লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্যপণ্যের ওপর GST ও চরম বেকারত্ব সহ নানা ইস্যুতে গতমাসের শেষদিকে বর্ধমানে রাস্তায় নামে সিপিএম। সেদিন কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল বর্ধমান শহর। যেখানে, পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় সিপিএম কর্মী সমর্থকদের। ভাঙচুর চালানো হয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের সাইনবোর্ড, ট্রাফিক পুলিশের অফিসে। ভেঙে দেওয়া হয় বিশ্ববাংলার লোগো। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পাল্টা কাঁদানে গ্যাস, জলকামানের ব্যবহার করে পুলিশ। করা হয় লাঠি চার্জ।
সিপিএমকে হুঁশিয়ারি তৃণমূলের
যে ঘটনার পরই সিপিএমকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তিনি বলেছিলেন, 'মমতা ব্যানার্জী ও অভিষেক ব্যানার্জী নির্দেশ দিয়েছে শান্ত থাকতে, তাই শান্ত আছি। সিপিএম যে তাণ্ডব করেছে, তা বন্ধ করা ৫ মিনিটের ব্যাপার ছিল।' যারপরই দেওয়ানদিঘিতে সিপিএমের এরিয়া কমিটির অফিসে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভেঙে দেওয়া হল জানলার কাচ, পার্টি অফিসের গেটে লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পতাকা।
লড়াই জারি, পাল্টা চ্যালেঞ্জ সিপিএমের
যে ঘটনার পর সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী বলেছিলেন, 'চুরির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে। আমরা কেউ গরু চুরি করেও আসিনি, বালি চুরি করেও আসিনি।' প্রসঙ্গত, বর্ধমানে তুলকালামের ঘটনায় প্রথমে গ্রেফতার হওয়া ৪৬ জন বামকর্মী সমর্থকের মধ্যে ৩৪ জনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ৭ জনের ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়েছিল। জামিন পেয়েছিলেন ৫ জন। এদিন বর্ধমান আদালত আরও ৩১ জনের জামিন মঞ্জুর করল। যার ফলে সেদিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে গ্রেফতার মোট ৫২ জনের ৫১ জনই বাম নেতা-কর্মীই ছাড়া পেয়ে গেলেন।
আরও পড়ুন- 'হাতে চুড়ি পরে বসে নেই, ওরা একটা মারলে, আমরা দুটো মারব', বিজেপিকে হুমকি উদয়নের