Kali Puja 2025: দেবীর পাথরের মূর্তিতেই ফুটে ওঠে শিরা-ধমনী! বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দির ঘেরা অলৌকিক ঘটনায়!
Kali Pujo: এখানে দেবী কালীর রূপ কঙ্কালসার। দেবীর শরীরের অস্থি, শিরা,ধমনী স্পষ্ট তাই দেবী ‘কঙ্কালেশ্বরী কালী’ বলে পরিচিত।

কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের কাঞ্চননগরের কঙ্কালেশ্বরী মন্দির ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে নানা কাহিনি। কে কবে এই মন্দির এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা কেউ জানেন না। তবে প্রথমে কোনও বিগ্রহ ছিল না এই মন্দিরে। কথিত আছে, সাধক কমলানন্দ পরিব্রাজক দেবীর স্বপ্নাদেশ পান। তিনি স্বপ্নে দেখেন যে দামোদরের তীরে দেবী রয়েছেন। স্বপ্নাদেশ পেয়ে বাংলা ১৩২৩ সালে সাধক কমলানন্দ ওই পাথর উদ্ধার করেন। সেই পাথরেই নাকি খোদাই করা ছিল দেবী মূর্তি। পরে সেই দেবীমূর্তি নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করা হয় মন্দিরে। প্রায় আড়াইশো বছরের পুরনো এই টেরাকোটা মন্দিরের ন’টি চূড়া রয়েছে।
এখানে দেবী কালীর রূপ কঙ্কালসার। দেবীর শরীরের অস্থি, শিরা,ধমনী স্পষ্ট তাই দেবী ‘কঙ্কালেশ্বরী কালী’ বলে পরিচিত। দেবী এখানে অষ্টভূজা। শায়িত শিবের নাভি থেকে উৎপত্তি হয়েছে দেবীর। শিবের নাভি থেকে বেরিয়েছে পদ্ম, সেই পদ্মের উপর বসে রয়েছেন দেবী। তাঁর চালচিত্রে রয়েছে হাতি।
অনুমান করা হয়, এই দেবীমূর্তিটি সম্ভবত বৌদ্ধ বা পাল যুগের। মন্দিরে মূল মূর্তির পাশেই রয়েছে আরও একটি ছোট মূর্তি। মূল মূর্তিটি উদ্ধার হওয়ার কিছুদিন পরেই অন্য আরেকটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছিল ছোট মূর্তিটি, স্বপ্নদেশ পেয়ে ছোট মূর্তিটিকেও নিয়ে আসা হয় এই মন্দিরে। দেবী এখানে চামুণ্ডা মতে পূজিত হন। অনেকে একে বৌদ্ধ চামুণ্ডার রূপ বলেন। আবার অনেকের মতে এটি বৌদ্ধ আমলে তৈরি। পাথরের উপরে কঙ্কালের রূপ ফুটে উঠেছে। বন্যার জল সরতে নদীগর্ভ থেকে মিলেছিল এই মূর্তি। কালো ব্যাসল্ট পাথরে তৈরি করা হয়েছে বিগ্রহ। উপরের ডান হাতে রয়েছে ত্রিশূল। বিগ্রেহ পায়ের দু’পাশে রয়েছে দু’টি শিয়াল।
সারা বছরই হয় নিত্য পুজো, দীপান্বিতা কালীপুজোর সময় বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। সেই সময় প্রায় ১ লক্ষেরও বেশি ভক্তের সমাগম ঘটে এই মন্দিরে। কালীপুজোর দুদিন ধরে চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, থাকে ভোগের ব্যবস্থাও। এছাড়াও সারা বছরই প্রতিদিনই দুপুরে মন্দিরে ১০ টাকার বিনিময়ে অন্ন ভোগ এবং রাত্রে পাঁচ টাকার বিনিময়ে রুটি খাওয়ানোর ব্যবস্থা আছে।






















