Memari Twin Death: মেমারিতে প্রৌঢ় দম্পতি দেহ উদ্ধার, ঘটনার পর নিখোঁজ দম্পতির ছেলে
East Burdwan News: স্থানীয় সূত্রে খবর, মাসতিনেক আগে নিখোঁজ হয়ে যান ছেলে। মাসদুয়েক আগে মুস্তাফিজুর ছেলেকে খুঁজে আনেন। তারপর থেকে মা-বাবার সঙ্গেই মেমারির বাড়িতে থাকতেন ছেলে।

কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে জোড়া খুন (Memari Twin Death)। প্রৌঢ় দম্পতিকে নৃশংসভাবে গলার নলি কেটে খুনের পর দেহ বাড়ির সামনে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার পর নিখোঁজ দম্পতির ছেলে। মেমারির কাশিয়াড়া কাজিপাড়ার বাসিন্দা ৬৬ বছরের মুস্তাফিজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী ৫৬ বছরের মমতাজ পারভিন ছেলেকে নিয়ে এই বাড়িতে থাকতেন। ছেলে বি টেক পাস, কাজ করতেন দিল্লির একটি কোম্পানিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাসতিনেক আগে নিখোঁজ হয়ে যান ছেলে। মাসদুয়েক আগে মুস্তাফিজুর ছেলেকে খুঁজে আনেন। তারপর থেকে মা-বাবার সঙ্গেই মেমারির বাড়িতে থাকতেন ছেলে। আজ সকালে বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর দম্পতির রক্তাক্ত দেহ পড়েছিল। নিহত দম্পতির ছেলের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে হাড়হিম করা হত্য়াকাণ্ড। বুধবার সকালে এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য় দেখতে পান স্থানীয়রা। আশ্চর্যজনকভাবে, মা-বাবার মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই, বেপাত্তা দম্পত্তির ছেলে। মেমারির কাশিয়াড়া কাজিপাড়ার বাড়িতেই থাকতেন, মুস্তাফিজুর রহমান (৬৬) তাঁর স্ত্রী মমতাজ পারভিন (৫৬) এবং তাঁদের ছেলে হুমায়ুন কবীর। স্থানীয় সূত্রে খবর, ছেলে বি টেক পাসের পর, কাজ করতেন দিল্লির একটি কোম্পানিতে। কিন্তু মাস তিনেক আগে হঠাৎ করে বেপাত্তা হয়ে যান তিনি। এরপর, ২ মাস আগে, ছেলের খোঁজ পান দম্পতি। মা-বাবা ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। তারপর থেকে মা-বাবা ছেলে ৩ জনই একসঙ্গে এখানে থাকছিলেন।
স্থানীয়দের দাবি, দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধারের পর আর এলাকায় দেখা যায়নি তাঁদের ছেলেকে। নিহতদের আত্মীয় মকবুল ইসলাম বলেন, "রাস্তার ওপরে ২ জন পড়েছিল। ছেলেটাই বা কোথায় গেল। আজকে সকাল থেকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।'' কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কে খুন করল? কেন খুন করল? উদ্দেশ্য়টা কী? দম্পতির ছেলে কেন হঠাৎ করে বেপাত্তা হয়ে গেলেন? ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ নিয়ে চলে তল্লাশি। পূর্ব বর্ধমানের SP সায়ক দাস বলেন, "২ জনেই সিনিয়র সিটিজেন। এই বাড়িতে ওঁরা থাকতেন। ওঁর সঙ্গে ওঁর ছেলে থাকতেন। ছেলেকে আমরা ঘটনার পর থেকে দেখতে পারছি না।''
গত সপ্তাহে আমপাড়াকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে ভাইকে খুন করার অভিযোগ ওঠে দাদার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে নিউটাউনের আকন্দ কিশোরী এলাকায়। নিহত ব্যক্তির নাম সুশান্ত রায়। পরিবার সূত্রে খবর, গত শনিবার দাদা প্রশান্ত রায়ের জমিতে থাকা একটি গাছ থেকে আম পাড়া নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। অভিযোগ, সেসময় ভাইয়ের মাথায় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করেন দাদা প্রশান্ত রায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুশান্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে টেকনোসিটি থানা।






















