East Burdwan News: বিশ্ববাংলার লোগো দেওয়া কুপন ব্যবহার করে চুপিসারে বালি পাচার, গ্রেফতার মূল চক্রী
কয়লা (Coal Smuggling)-গরুপাচারের (Cow Smuggling) অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় রাজ্য়-রাজনীতি। এরইমধ্য়ে বিশ্ববাংলার লোগোর ছবি দেওয়া কুপন ব্য়বহার করে, উঠল বালি পাচারের অভিযোগ!

কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: কুপনে বিশ্ববাংলার (Biswa Bangla) লোগো। লেখা রয়েছে পরিবহণ ডিপার্টমেন্ট সুরক্ষা কমিটি পরিষেবা। এই কুপন দেখিয়ে গাড়ি ওভারলোড করে চলছিল বালি পাচার! ঘটনার তদন্তে নেমে মুম্বই থেকে কুপনকাণ্ডের মূল চক্রীকে গ্রেফতার করেছে শক্তিগড় থানার (Saktigarh Police) পুলিশ।
কয়লা (Coal Smuggling)-গরুপাচারের (Cow Smuggling) অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় রাজ্য়-রাজনীতি। এরইমধ্য়ে বিশ্ববাংলার লোগোর ছবি দেওয়া কুপন ব্য়বহার করে, উঠল বালি পাচারের অভিযোগ! কুপনের মাঝখানে বিশ্ব বাংলার লোগো! ছোট্ট এই কাগজের ওপর, বড় বড় করে লেখা রয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল পরিবহণ ডিপার্টমেন্ট সুরক্ষা কমিটি পরিষেবা। অভিযোগ এই কুপন দেখিয়ে গাড়ি ওভারলোড করে চলছিল বালি পাচার। কুপনকাণ্ডের মূল চক্রীকে সুদূর মুম্বই থেকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার পুলিশ। কিন্তু কীভাবে ছড়িয়েছিল কুপনকাণ্ডের জাল? ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকের ঘটনা। বীরভূমের ইলামবাজার থেকে কলকাতায় আসার পথে শক্তিগড়ের কাছে, অতিরিক্ত বালি বোঝাই সন্দেহে এই ট্রাকটিকে আটক করেন পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা।
তাঁদের দাবি, ট্রাকটি আটকাতেই এই কুপনটি দেখান চালক। কুপনের ওপর লেখা ১০ টন। পরিবহণ দফতর সূত্রে দাবি, ট্রাকের ড্রাইভার তাঁদের বলেন, অতিরিক্ত ১০ টন বালি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র এই কুপন। এরপরই ট্রাকের মালিককে ডেকে পাঠায় পরিবহণ দফতর। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাক মালিক জানান, মাসে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বাসিন্দা এক ব্য়ক্তির কাছ থেকে এই কুপণ তিনি সংগ্রহ করেছেন। ট্রাক মালিকের দাবি, তাঁকে বলা হয়, এই কুপনেের মাধ্য়মে, রাজ্য়ের যে কোনও জায়গায় ১০ টন ওভারলোডেড গাড়ি চালানো যাবে।
এর পরই শক্তিগড় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে পরিবহণ দফতর। তদন্তে নেমে মুম্বই থেকে শুক্রবার কুপনকাণ্ডের মূল চক্রীকে গ্রেফতার করে শক্তিগড় থানার পুলিশ। বসিরহাটের বাসিন্দা, অভিযুক্তের নাম নাজমুল ইসলাম মণ্ডল। কুপন দেখালেই পাচারে ছাড়! বিশ্ব বাংলার লোগোর ছবি কুপনে! তুঙ্গে তরজা
বর্ধমান জেলা কমিটির বিজেপির সহ সভাপতি শ্য়ামল রায় বলছেন, কেষ্ট মণ্ডল জেলে থাকলেও দুর্নীতি,পাচার এখনও কমে নি।বিশ্ববাংলার লোগো ব্যবহার করে বালি পাচার চলছে।আসলে তৃণমূল বিশ্ববাংলা লোগো ব্যবহার করে নানারকম দুর্নীতি ও চুরি প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।আসলে কেষ্ট মণ্ডল নয় দুর্নীতি ও চুরির মূল কারিগর হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী ও ভাইপো।তাই আসল অপরাধীরা ধরা না পরলে এই পাচার বন্ধ হবে না।
পূর্ব বর্ধমানের যুব কংগ্রেস সভাপতি গৌরব সমাদ্দার বলছেন, বিশ্ববাংলার লোগো দুর্নীতির প্রতীক।আর এই দুর্নীতির চাবি লুকিয়ে আছে কালিঘাটে।যতদিন মুখ্যমন্ত্রী ও ভাইপো আছেন ততদিন এই দুর্নীতি চলবে।তৃণমূল তোলাবাজি ছাড়া কিছু বোঝে না।এটা লজ্জার বিষয় বিশ্ববাংলার লোগো ব্যবহার করে বালি পাচার চলছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য় কমিটির মুখপাত্র দেবু টুডু বলছেন, বিরোধীদের অভিযোগের কোনও মানে হয় না।অবৈধ কাজ হচ্ছিলো তাই পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে।বিশ্ববাংলার লোগো কেউ ব্যবহার করে অন্যায় কাজ করছিলো তাই তো পুলিশ এই ব্যবস্থা নিয়েছে তারপরও বিরোধীদের অভিযোগের কোনও মানে হয়না। পুলিশ সূত্রে খবর, কুপনকাণ্ডের মূল চক্রীকে ট্রানজিট রিমান্ডে বর্ধমানে আনা হচ্ছে। অন্য়দিকে বালিবোঝাই লরিটিকে বাজেয়াপ্ত করে মালিককে জরিমানা করা হয়েছে।






















