East Midnapore: পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে ভাল কাজের জন্য পুরস্কার ঘোষণা জেলাশাসকের
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে কাজের গতি আনতে এবার উৎকর্ষতার পুরষ্কার ঘোষণা জেলাশাসকের। শীর্ষে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে পুরস্কৃত করা হবে।
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: পঞ্চায়েতের কাজে গতি আনতে এবার পুরষ্কারের কথা ঘোষণা করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক। তাঁর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। তবে জেলাশাসকের এই পুরষ্কার ঘোষণা নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে কাজের গতি আনতে এবার উৎকর্ষতার পুরষ্কার ঘোষণা করলেন জেলাশাসক। ১০০ দিনের কাজ, বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি সহ নানান কাজে শীর্ষে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে পুরস্কৃত করবে জেলা প্রশাসন। জেলা শাসক পূর্নেন্দু মাজি জানিয়েছেন, তিন মাস অন্তর গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলির কাযের পর্য্যালোচনা করা হবে। তার ভিত্তিতে প্রথম ২০টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও তিনটি পঞ্চায়েত সমিতিকে পুরষ্কৃত করা হবে। বছরের শেষে ফের একইরকম ভাবে পর্যালোচনা করে পুরষ্কৃত করা হবে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে। জেলায় মোট গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা রয়েছে ২২৩ টি ও পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে ২৫টি।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, 'একটা বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা গড়ে তোলাই উদ্দেশ্য। যাতে সব পঞ্চায়েতগুলো ঠিক ভাবে কাজ করে। কাজের গুণগত মান যাতে ঠিক হয় সেদিকেই লক্ষ্য রাখা হবে। প্রাথমিকভাবে তিন মাস পর ২০টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে বাছাই করে উৎকর্ষ পুরস্কার দেওয়া হবে। এছাড়াও তিনটে ব্লককেও বাছাই করে পুরস্কৃত করা হবে। পরবর্তীতে আমরা বার্ষিকভাবেও কাজের খতিয়ানের ওপর নির্ভর করে ২০টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে পুরস্কৃত করা হবে।'
আর জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। নাটশাল ২, গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রদীপ দাস বলেন, 'জেলাশাসকের ঘোষণায় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা অনুপ্রাণিত হবে। কে, কত ভাল কাজ করতে পারবে তা নিয়ে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা হবে। রাস্তাঘাট, পাণীয়, বিদ্যুতের সরবরাহ ভাল হবে এলাকায়।'
যদিও জেলাশাসকের এই ঘোষণার পরও তির্যক মন্তব্য করেছে জেলা বিজেপি। এই রাজ্যে সবকিছুতেই যেন রাজনীতি পিছু ছাড়েনা। জেলা শাসকের এই উৎকর্ষতার পুরষ্কার ঘোষণা নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এই সরকারের আমলে সবকিছুই ঘুষ ও কাটমানি দিয়ে হয়। কোনও কাজই কাটমানি ছাড়া হয় না। মাননীয় জেলাশাসকও সেই বিষয়টা বুঝে গিয়েছেন।'