East Midnapur Body Recover: রিকশ চালকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার, কেন খুন? তদন্তে পুলিশ
বিশ্বনাথপুর গার্লস হাইস্কুলের কাছে স্থানীয় এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতের নাম বাপি নায়েক। বয়স ৩০।
ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: যুবকের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ (Deadbody) উদ্ধার হল পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) পটাশপুরে (Pataspur)। পেশায় রিকশ চালক ওই যুবককে কে বা কারা, কেন খুন করল খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সাতসকালে চাঞ্চল্য পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকের বিশ্বনাথপুর গ্রামে।
বিশ্বনাথপুর গার্লস হাইস্কুলের (Biswanathpur Girls High School) কাছে স্থানীয় এক যুবকের (Youth Deadbody) মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতের নাম বাপি নায়েক। বয়স ৩০। পেশায় ছিলেন রিকশ চালক। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ভোররাতে তাঁরা গুলির শব্দ শুনেছিলেন। সকালে দেখা যায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে বাপির মৃতদেহ।
পটাশপুর (Pataspur) বিশ্বনাথপুরের বাসিন্দা তপন মাইতি জানিয়েছেন, ওই যুবকের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapur) থেকে আসা দুষ্কৃতী দলের সামনে হতো পড়ে গিয়েছিল।মেরে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনা নিয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চায়নি মৃতের পরিবার। পটাশপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের অপরাধের কোনও রেকর্ড নেই। কে বা কারা তাঁকে কেন খুন করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দমদমের ইস্ট মল রোডের একটি মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। দিদির পচাগলা দেহ আগলে বসে রইলেন ভাই-বোন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মায়ের মৃত্যুর পর ভাই ভাস্কর ও বোন রাখির সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন ৫৬ বছরের সুপ্রিয়া ঘোষ। পরিবারের সদস্যদের মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে প্রতিবেশীদের দাবি। গতকাল বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে বাগুইআটি থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে মহিলার কম্বল জড়ানো পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। চারদিন আগে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
গত মাসে গড়ফাতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। ৩ মাস ধরে বাবার মৃতদেহ আগলেছিলেন ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, গৃহকর্তা বছর সত্তরের সংগ্রাম দে-কে কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে না বলে গড়ফা থানায় জানান প্রতিবেশীরা। কে পি রায় লেনের বাড়িতে গিয়ে গৃহকর্তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সংগ্রাম দে সল্টলেকে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের অফিসে কাজ করতেন। বাড়িতে থাকতেন তাঁর পক্ষাঘাতে আক্রান্ত স্ত্রী ও ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, ছেলের দাবি, ৩ মাস আগে বাবা মারা গেছেন। তিনি বেঁচে উঠবেন ভেবে বাড়িতেই মৃতদেহ রেখে দেন।