Eastern Railway: চার জনের মৃত্যুতে ফিরল হুঁশ! ৬০টি জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পূর্ব রেলের
Tank Collapse: প্ল্যাটফর্মে আর কোনও ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক রাখতে চাইছে না রেল। কোনও কংক্রিটের জলের ট্যাঙ্ক ৬০ বছর হলেই ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত রেলের।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান স্টেশনে ট্যাঙ্ক ভেঙে ৪ জনের মৃত্যুতে হুঁশ ফিরল রেলের। স্টেশনে স্টেশনে ৬০টি জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পূর্ব রেলের (Eastern Railway)। বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে থাকা ৪৮টি জলের ট্যাঙ্ক ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, প্ল্যাটফর্মের উপরে থাকা ১২টি ট্যাঙ্ক ভেঙে ফেলা হবে। সূত্রের খবর, প্ল্যাটফর্মে আর কোনও ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক রাখতে চাইছে না রেল। কোনও কংক্রিটের জলের ট্যাঙ্ক ৬০ বছর হলেই ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত রেলের।
ট্যাঙ্ক ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত: বর্ধমান স্টেশনে ট্যাঙ্ক দুর্ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসল রেল কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে ৬০টি ট্যাঙ্ক ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। পাশাপাশি যেসব ট্যাঙ্কের বয়স ৬০ বছরের বেশি তাও ভেঙে ফেলা হবে। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, প্ল্যাটফর্মের উপরে থাকা হাওড়া ডিভিশনে ৩ টি, আসানসোল ডিভিশনে ৮ টি এবং মালদহ ডিভিশনে ১টি ট্যাঙ্ক ভেঙে ফেলা হবে। অর্থাৎ প্লাটফর্মের উপর আর কোনও জলের ট্যাঙ্ক রাখবে না পূর্ব রেল। এছাড়াও স্টেশন চত্বরে থাকা আরও ৪৮ টি ট্যাঙ্ক ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। তার মধ্যে শিয়ালদা ডিভিশনের ৭টি, আসানসোল ডিভিশনে ২৩ টি, হাওড়া ডিভিশনের ১৪ টি এবং মালদা ডিভিশনের ৪টে- মোট ৪৮ টি জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যেই এই ট্যাঙ্কগুলি ভেঙে ফেলা হবে। মূলত এই সমস্ত ট্যাঙ্ক থেকে প্ল্যাটফর্ম এবং প্লাটফর্ম চত্বরে জল সরবরাহ করত রেল। যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য আধুনিক পদ্ধতিতে প্ল্যাটফর্মের বাইরে ট্যাঙ্ক তৈরি করবে রেল।
গত ১৩ ডিসেম্বর ট্রেন ধরতে এসে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে বেঘোরে মৃত্যু হয় ৪ জনের। রীতিমতো মৃত্যুপুরী হয়ে ওঠে বর্ধমান স্টেশন। প্ল্যাটফর্মে যাত্রী-শেডের ওপর জলের ট্যাঙ্কের একাংশ ভেঙে পড়ে ঘটে গিয়েছে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে।। মৃতদের তালিকায় রয়েছেন মহিলা সহ ৪ জন। আহত অন্তত ৩৪। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারির পর চলতি বছরের ১৩ ডিসেম্বর, প্রায় ৪ বছরের মাথায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর আতঙ্ক ফিরে এসেছে বর্ধমান স্টেশনে। সব মিলিয়ে যে কোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রয়েছেন রেলযাত্রীরা। তাঁরা জানিয়েছিলেন, 'শেষ মুহূর্তে ট্রেন ঢোকার ঘোষণা করার রোজই হুড়হুড়ি পড়ে যায় স্টেশন'। প্রশ্ন উঠছে, অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় থাকা বর্ধমান স্টেশনে রক্ষণাবেক্ষণের কেন এই হাল? কোথায় যাত্রী সুরক্ষা? দুর্ঘটনার দায় কার? এই ঘটনাতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি ইতিমধ্য়েই গঠন করেছে রেল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।