Jyotipriya Mallick: 'ধান কেনাবেচায় মন্ত্রী নিজেই কমিশন নিতেন', রিপোর্টে বিস্ফোরক দাবি ইডি-র
ED on Ration Scam: রাইস মিলের মালিক কালীদাস সাহাও জ্যোতিপ্রিয় ও তাঁর সহযোগীদের ধান কেনাবেচার কমিশন দিতেন?
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: রেশন দুর্নীতিতে, গরিবের প্রাপ্য চাল খোলা বাজারে বিক্রি করে অনেকে কোটিপতি হয়েছেন বলে অভিযোগ, সেই দুর্নীতির সঙ্গে কি সরাসরি যুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক? জোরালভাবে এই প্রশ্নটা উঠছে, কারণ, ED সূত্রে দাবি, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বন দফতরে বসে কৃষকদের সঙ্গে ধান কেনার চুক্তি করেছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
শুধু তাই নয়, বন দফতরে তল্লাশি চালিয়ে কৃষকদের থেকে সরাসরি ধান কেনার প্রায় ১০০টি চুক্তিপত্র মিলেছে, এমনটাই ইডি সূত্রে দাবি। এদিকে, ধান কেনাবেচায় মন্ত্রী নিজেই কমিশন নিতেন। সমস্ত রাইস মিল মালিকদের এই কমিশন দিতে হত। প্রতি কুইন্টালে ২০ টাকা কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কৃষি সমবায় সমিতির মাধ্যমে মন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যেত কমিশন। আদালতের রিপোর্টে বিস্ফোরক দাবি করল ED।
রিপোর্টে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, জ্যোতিপ্রিয়র সহযোগী বাকিবুর রহমান এবং তাঁর রাইস মিল NPG রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেডের অন্যতম ডিরেক্টর সাহিদুল রহমান, নিজেদের বয়ানে মন্ত্রীর কমিশন নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেনসিয়াল কমোডিটিজ সাপ্লাই কর্পোরেশন লিমিটেড, WBECSE-র চেয়ারম্যান হিসেবে কৃষি সমবায় সমিতির মাধ্যমে চলত কমিশন নেওয়া। একই রকম ভাবে রাইস মিলের মালিক কালীদাস সাহাও জ্যোতিপ্রিয় ও তাঁর সহযোগীদের ধান কেনাবেচার কমিশন দিতেন বলে রিপোর্টে দাবি ED-র।
এদিকে, জ্যোতিপ্রিয় তাঁকে কখনও ১০০ টাকাও দেননি। ঘনিষ্ঠতা থাকলে, পুরভোটে আমাকে টিকিট দেওয়া হল না কেন? এভাবেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করলেন শঙ্কর আঢ্য। সংবাদমাধ্যমের সামনে, তাঁর সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উড়িয়ে দিলেন ধৃত তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন, 'ওদের ইডি আছে, আমাদের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আছে' ইডি গেলেই জন বিস্ফোরণ, হুঙ্কার শোভনদেবের
রেশন দুর্নীতিতে টাকার অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও শঙ্কর আঢ্যর যোগসাজশের কথা জানিয়ে এই টাকার অঙ্ক আরও বাড়তে পারে বলে আদালতে দাবি করেছে ED।
পাশাপাশি প্রেস রিলিজে ED দাবি করে, রেশন দুর্নীতির তদন্তে জানা গেছে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাঁর একাধিক ঘনিষ্ঠ সহযোগীর মাধ্যমে অপরাধ সংগঠিত করেছিলেন, যাঁরা 'ফুল ফ্লেজেড মানি চেঞ্জার' (FFMC) হিসেবে কাজ করেছেন। এমনকী গ্রেফতারির পর তৃণমূল নেতার স্ত্রীও দাবি করেছিলেন যে, ED তাদের জানিয়েছিল জ্যোতিপ্রিয়কে জেরা করেই শঙ্কর আঢ্যর নাম পাওয়া গেছে।