Enforcement Directorate: নিয়োগ দুর্নীতিতে লেনদেনের যোগ, সল্টলেকে ২ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি ইডি-র
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই বাড়ির বাসিন্দা দুই ভাই ব্য়বসায়ী। কাপড়ের পাশাপাশি, একাধিক ব্যবসা রয়েছে তাঁদের। সূত্রের খবর, তল্লাশিতে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট-সহ একাধিক নথি মিলেছে।
আবির দত্ত ও ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: সল্টলেকে (Saltlake) ২ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালাল ইডি (Enforcement Directorate)। সূত্রের খবর, মুম্বইয়ের ইডির (ED) একটি মামলার সূত্র ধরে কিছু লোকেশন ও তথ্যের ভিত্তিতেই তল্লাশি চালানো হয়। মনে করা হচ্ছে এই লেনদেনের সঙ্গে হাওয়ালা যোগ থাকতে পারে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Corruption) ইডি-র তদন্তে রোজই চোখ কপালে তোলার মতো তথ্য় সামনে আসছে!তার মধ্য়েই অন্য় মামলার প্রেক্ষিতে, সল্টলেকে ২ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালাল ইডি। সল্টলেকের BL72 ও CG ব্লক ২৩০ নম্বরের এই দুই বাড়িতে মঙ্গলবার ভোরেই পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই বাড়ির বাসিন্দা দুই ভাই ব্য়বসায়ী। কাপড়ের পাশাপাশি, একাধিক ব্যবসা রয়েছে তাঁদের। সূত্রের খবর, তল্লাশিতে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট-সহ একাধিক নথি মিলেছে।
মুম্বইয়ের ইডির একটি মামলার সূত্র ধরে কিছু লোকেশন ও তথ্যের ভিত্তিতেই তল্লাশি চালানো হয়। মনে করা হচ্ছে এই লেনদেনের সঙ্গে হাওয়ালা যোগ থাকতে পারে। মুম্বইয়ের ওই একই মামলায় সল্টলেকের এই BL72, বিলাসবহুল বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। মঙ্গলবার, ভোর ৬টা নাগাদ এই বাড়িতেও এসে হাজির হন ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, বাড়ির মালিক একটি সংস্থার কর্ণধার। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অন্যদিকে ৪২টি অ্য়াকাউন্টের পর এবার ইডি-র স্ক্য়ানারে ধৃত অয়ন শীলের ব্য়াঙ্ক লকার। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে দাবি, অয়ন ও তাঁর স্ত্রীর একাধিক ব্যাঙ্ক লকারের হদিশ মিলেছে। সেখানে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলেও দাবি করছেন তদন্তকারীরা। যদিও অয়নের স্ত্রীর দাবি, তিনি এসব বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
জেলায় জেলায় নামে বেনামে কেনা জমি, করোনাকালে কেনা পেট্রোলপাম্প, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত, বহি্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে সম্পত্তির নিরিখে কম যান না প্রোমোটার অয়ন শীল। ইডি সূত্রে আগেই এই দাবি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে দাবি, অয়নের সল্টলেকের অফিসে হানা দিয়ে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে। আর এক্ষেত্রে গোটা পরিবারকেই অপরাধের জালে জড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত, প্রোমোটার অয়ন শীলের বিরুদ্ধে।
ED সূত্রে দাবি, অয়ন শীল, অয়নের স্ত্রী কাকলি, ছেলে অভিষেক, অয়নের বাবা সদানন্দ, মা অমিতা, অয়নের ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তী, অয়নের ছেলের বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্য়ায়, অয়নের অফিসের কর্মী, আত্মীয় স্বজনদের নামে সবমিলিয়ে মোট ৪২টি অ্য়াকাউন্টের হদিশ মিলেছে। এখানেই শেষ নয়। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে দাবি, ধৃত অয়ন শীলের একাধিক ব্যাঙ্ক লকারেরও হদিশ মিলেছে। সূত্রের খবর, ওই সমস্ত লকারে অয়নের সঙ্গে যৌথভাবে নাম রয়েছে তাঁর স্ত্রী কাকলির। ধৃত অয়নকে জেরা করেই এই সংক্রান্ত তথ্য মিলেছে বলে ইডি সূত্রে দাবি।
ইডি সূত্রে দাবি, অয়নের সংস্থা ABS ইনফোজোনের দ্বিতীয় ডিরেক্টর তাঁর স্ত্রী কাকলি। কাকলির ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেও বার তিনেক কয়েক কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এই সমস্ত টাকা নিয়োগ-দুর্নীতির বলেই মনে করছে ইডি।
যদিও ধৃত অয়নের স্ত্রীর দাবি, তিনি এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না। সূত্রের খবর, এর মধ্যে দু’বার অয়নের স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছে ইডি। অয়নের ছেলে অভিষেকের সঙ্গেও কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। এদিন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে যান অয়নের স্ত্রী কাকলি। ঘণ্টা দেড়েক পর বেরিয়ে যান।