Shantanu Kuntal ED : বিপুল সম্পত্তি, আরও আছে কি? হদিশ পেতে শান্তনু - কুন্তলের এলাকায় ইডি অভিযান
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেতে হুগলিতে অভিযান শুরু করল ইডি।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ( Bengal Recruitment Scam ) বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( Shantanu Banerjee ) বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেতে হুগলিতে অভিযান শুরু করল ইডি ( ED ) । বলাগড়ে শান্তনুর বাড়ির কাছেই বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের ( Kuntal Ghosh ) বাড়ি। সেখানেও হানা দিতে পারেন ইডি-র অফিসাররা।
ইতিমধ্যেই ২০টি সম্পত্তির হদিশ
ইডি-র দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই শান্তনুর ২০টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। যার দাম ১০-১৫ কোটি টাকা। তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি! যা দেখে অনেকে বলছেন, সম্পত্তি কোথায়, এ তো সাম্রাজ্য়! কী নেই সেই তালিকায়! তবে সব থেকে বেশি নজর কাড়ছে, 'দ্য স্পুন' নামে ধাবা। একেবারে রাজকীয় আয়োজ! যাকে বলে। মালিক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে, এখানে আর সেভাবে দেখা যাচ্ছে না কোনও কর্মীকে। শুনশান সেই ধাবার অন্দরমহলে ঢুঁ মেরেছিল এবিপি আনন্দ। খোলা আকাশের নীচে কটেজ যেমন রয়েছে, তেমনি ধাবার একেবারে ভিতরে রয়েছে গুহার আদলে AC বার । তু, আশপাশের কোনও ব্যবসা যাতে কোনওভাবে সফল না হয়, সেজন্য় তৃণমূল নেতা শান্তনু ক্ষমতার অপব্য়বহার করতে ছাড়তেন না বলে অভিযোগ। শান্তনুর ২৫টি অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। এই সমস্ত অ্যাকাউন্টে দেড় কোটি টাকা ছিল বলে ইডি-র দাবি। সূত্রের খবর, কুন্তলেরও ১০টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।
ব্যান্ডেলে স্ত্রী প্রিয়ঙ্কার নামে আলিশান বাড়ি
সূত্রের খবর, ৪-৫ বছর আগে ব্যান্ডেলে স্ত্রী প্রিয়ঙ্কার নামে ৩ কাঠা জমিতে গ্যারাজ-সহ পেল্লায় তিনতলা বাড়ি কেনেন শান্তনু। কিছুদিন আগেও এই বাড়িতে তাঁরা আসতেন। বিল বকেয়া থাকায় জানুয়ারি মাসে তালাবন্ধ বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয় রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। এই সংস্থারই কর্মী ছিলেন শান্তনু। এদিন ব্যান্ডেলের তালাবন্ধ বাড়িতে হানা দেন ইডি-র অফিসাররা। হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে তাঁরা ভিতরে ঢোকেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। কুন্তলের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া হয়, গ্রেফতারির ৫২ দিনের মাথায়। আর শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে গ্রেফতারির পাঁচ দিনের মাথায় বহিষ্কারের কথা জানায় তৃণমূল। তাঁদের বহিস্কার করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেয় রাজ্যের শাসক দল।