ED Raid: ১০০০ কোটির প্রতারণা! সাতসকালে কোথায় তল্লাশিতে ED?
Call Centre Fraud: মূল অভিযুক্ত ধৃত কুণাল গুপ্তার ঘনিষ্ঠদের একাধিক ঠিকানায় চলছে তল্লাশি। রয়েছে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণার অভিযোগ
আবির দত্ত, কলকাতা: সাতসকালে ফের অ্যাকশনে ইডি। ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণা মামলায় সকাল থেকে তল্লাশি চলছে ইডির (ED Raid in Kolkata)। প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় বেনিয়াপুকুরে ইডি হানা দিয়েছে। মূল অভিযুক্ত ধৃত কুণাল গুপ্তার ঘনিষ্ঠদের একাধিক ঠিকানায় চলছে তল্লাশি।
ইডির দাবি, ২০০৫-এ ভুয়ো কল সেন্টার খুলে বিদেশি নাগরিকদের থেকে প্রায় ১ হাজার কোটি হাতিয়েছেন কুণাল। সিআইডি হেফাজতে থাকাকালীন কয়েকজন সহযোগীকে ফোন করে প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করেন অভিযুক্ত, দাবি ইডির।
ভুয়ো কল (Fake Call Centre) সেন্টার খুলে হাজার কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগের মামলায় এবার শহরজুড়ে অভিযান চালাচ্ছে ইডি। এই মামলায় মূল অভিযুক্ত কুণাল গুপ্তাকে আগেই গ্রেফতার করে সিআইডি (CID)। এবার তাঁর ঘনিষ্ঠদের একাধিক ঠিকানায় চলছে তল্লাশি। সকাল থেকে বেনিয়াপুকুরের তাঁতিবাগান লেনে তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ED-র দাবি, ২০০৫ সালে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে বিদেশি নাগরিকদের থেকে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন কুণাল। দীর্ঘদিন দুবাইতে ছিলেন অভিযুক্ত। তাঁর নামে লুক আউট সার্কুলারও জারি করে রেখেছিল ইডি। অভিযোগ, সিআইডি হেফাজতে থাকাকালীন নিজের কয়েকজন সহযোগীকে ফোন করে প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করেছেন কুণাল।
দেবকে তলব ইডির:
এদিনই ইডির ডাকে দিল্লির দফতরে হাজিরা দিলেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব। গরু পাচার মামলায় তাঁকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিন সকাল ১০.৪৫ নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছন দেব। এর আগে ২০২২-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি, গরুপাচার মামলায় দেবকে নিজাম প্যালেসে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে CBI। কয়েক মাসের ব্যবধানে ২২ জুন এই মামলাতেই দেবকে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর প্রায় দেড় বছর পর ফের দেবকে তলব করল তারা।
দেব বলেন, 'আমি যদি চুরি করি, সবচেয়ে আগে জানব তো আমি। আমার মনে হয় না, আমি কারও এক টাকা নিয়েছি। তো আমার ওই ভয়টা নেই কে, কী হবে, কী হবে না।' তিনি আরও বলেন, 'নতুন কোনও প্রস্তুতি নিয়ে যাইনি। কারণ ওরাও কিছু লেখেনি কি কী করতে হবে। আমি দু'বছর আগে যখন গেছিলাম, তখনও বলেছিলাম যতবার ডাকবে ততবার যাব এবং আমি সেটাই অনুসরণ করছি। আমার মনে হয়...দেশের তদন্তকারী সংস্থার ওপর বিশ্বাস আছে এবং আমার আস্থা আছে। তদন্তে যদি কোনও সাহায্য লাগে বা যদি কিছু...অবশ্যই আমি আছি। আমি শ্যুটিং বাতিল করে এসেছি।'
আরও পড়ুন: 'রেশন তুলতে পারছি না, ব্যাঙ্কের টাকা তুলতে পারছি না', ফের 'আধার-বিভ্রাট' জেলায় জেলায়