Anubrata Mondal : জামিন পেয়েও স্বস্তি নেই কেষ্টর, চিন্তায় ফেলল ইডি, বাজেয়াপ্ত ২৬ কোটির সম্পত্তি
Cow Smuggling Case : প্রায় ২৬ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। অনুব্রত-সহ ঘনিষ্ঠদের ৩৬টি অ্যাকাউন্টও এজেন্সির হেফাজতে।

গরুপাচার মামলায় দীর্ঘ সময় তিহাড় জেলে কাটিয়েও অবশেষে জেলমুক্তি হয়েছে তাঁর। ফিরেছেন নিজের গড়ে। তবুও বিপাকে কেষ্ট। আগেই তদন্তকারী সংস্থা ইডি অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। একাধিক সম্পত্তিকে বেআইনি বলে দাবি করেছিল। এবার অনুব্রতর প্রায় ২৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে,অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের মোট ৩৬টি অ্যাকাউন্টও এজেন্সি হেফাজতে নিয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলির অনেকগুলি অনুব্রত মণ্ডলের নামে। কিছু তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে। এছাড়া অনুব্রতর মালিকানাধীন কয়েকটি সংস্থার নামে থাকা অ্যাকাউন্টগুলিও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি । এছাড়াও ইডি আগেই কয়েকটি বেনামি অ্যাকাউন্টকে চিহ্নিত করেছিল, সেগুলিকেও এবার বাজেয়া্ত করা হল। সবমিলিয়ে অনুব্রতর বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির পরিমাণ ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা।
গত সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট থেকে গরু পাচার মামলায় জামিন পান কেষ্ট। ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট,গরু পাচার মামলায় বীরভূমের নিচু পট্টির এই বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল CBI। এই মামলায় পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আসানসোল জেল থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে তিহাড়ে নিয়ে যায় তারা। অগাস্টে CBI-করা মামলায় জামিন পান কেষ্ট। তবে ED-র করা মামলার জন্য় জেল থেকে মুক্তি পাননি। অবশেষে ১৮ মাস জেলবন্দি থাকার পর, সেপ্টেম্বরে সেই মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট থেকে জামিন পান তিনি।
তবে গত সেপ্টেম্বর যখন জামিন পান অনুব্রত, তখন গরু পাচারের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকেছে, তেমন কোনও নথি ইডি আদালতের সামনে হাজির করতে পারেনি। মূলত এই কারণেই ED-র মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দেওয়া হয় বলে উল্লেখ ছিল আদালতের রায়ের কপিতে। আর তাই ১৮ মাস তিহাড় জেলে থাকার পর, অনুব্রত জেল থেকে মুক্তি পান। সেপ্টেম্বরের পর পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় ৫ টি মাস। এই মুহূর্তে আবার অনুব্রতর অ্যাকাউন্টগুলির উপর নজর ইডির। তাহলে কি নতুন করে প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট
জামিন পেয়ে বীরভূমে ফেরার পর ফের অনুব্রত মণ্ডলকে স্টেট রুরাল ডেভলপমেন্ট এজেন্সির চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করে রাজ্য সরকার।
৪ ঠা জানুয়ারি তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান পদে। মঙ্গলবার এসআরডিএ চেয়ারম্যান হিসাবে প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকে অংশ নেন অনুব্রত মণ্ডল। আর সেখানে পুরনো মেজাজে দেখা যায় তাঁকে। ইডির এই সক্রিয় হয়ে ওঠা কি ফের জালে ফেলবে 'বীরভূমের বাঘকে'?
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
