Abhishek Banerjee : ব্যাঙ্কক যেতে ‘বাধা’ অভিষেকের শ্যালিকাকে, বিমানবন্দরেই ইডি নোটিস মেনকা গম্ভীরকে
Enforcement Directorate : ইডি সূত্রে পরে জানা যায়, মেনকা গম্ভীরের নামে আগে থেকেই লুক আউট সার্কুলার জারি করে রেখেছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট ।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : ব্যাঙ্কক যেতে দেওয়া হল না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকাকে। প্রথমে ‘বাধা’ দেওয়ার পর কলকাতা বিমানবন্দরে মেনকা গম্ভীরকে নোটিস ধরাল ইডি (ED)। কয়লাপাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Scam) আগামী সপ্তাহে তাঁকে জেরার জন্য সমন দেওয়া হয়েছে বলেই খবর। কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর প্রথমে অভিবাসন দফতরে আটকানোর পর মেনকা গম্ভীরকে আড়াই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় বলেই খবর।
ঠিক কী হয়েছে
ব্যাঙ্ককের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়ার জন্য সন্ধে পৌনে আটটা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা। রাত ৯ টা দশে বিমান ছিল তাঁর। কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পরই তাঁকে প্রথমে অভিবাসন দফতরে পক্ষে আটকানো হয়। তারপর তাঁকে একটি ঘরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় বলেই খবর। অভিবাসন দফতর মেনকা গম্ভীরকে আটকানোর পর খবর দেওয়া হয় দিল্লির ইডির সদর দফতরে।
আগে থেকে লুক আউট সার্কুলার
ইডি সূত্রে পরে জানা যায়, মেনকা গম্ভীরের নামে আগে থেকেই লুক আউট সার্কুলার জারি করে রেখেছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। যে নোটিস আগে থেকেই পাঠানো ছিল দেশের সমস্ত বিমানবন্দরেও। যে নোটিসের ভিত্তিতেই আটকানো হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকাকে। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহে কয়লা পাচারকাণ্ডে হাজিরার জন্য ইডি-র তরফে মেনকা গম্ভীরকে বিমানবন্দরেই নোটিসও ধরানো হয় বলেই জানা যাচ্ছে।
ভয় অভিষেককে : শান্তনু সেন
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকাকে বিমানবন্দরে আটকানোর প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, 'মেনকা দেবী তো উদ্দেশ্য নয়, আসল ভয় তো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যিনি প্রমাণ করে ছেড়েছেন দেশের সবথেকে বড় পাপ্পু অমিত শাহ। ভয় তো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ভয় তৃণমূলকে। এটা তো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এভাবে ইডি-সিবিআইয়ের নির্লজ্জ ব্যবহার স্বাধীনতার পর থেকে দেশে দেখা যায়নি।'
পুরো তৃণমূলই দুর্নীতিগ্রস্থ :শমীক ভট্টাচার্য
সবই তো রাজনৈতিক অভিসন্ধি। বান্ধবীর বাড়ি থেকে হোক বা ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার, সবই রাজনৈতিক অভিসন্ধি। তারা তদন্ত করছেন, তারাই বলতে পারবেন, কেন আটকানো হয়েছে। এটা যারা তদন্ত করছেন, তারাই বলতে পারবেন কেন আটকানো হয়েছে। আমরা কীভাবে বলব। আমরা রাজনীতি করি। লড়াইটা মাঠে-ময়দানে। মনে হয় তৃণমূলের পুরোটাই দুর্নীতিগ্রস্থ।
আরও পড়ুন- ব্যবসায়ীর বাড়িতে প্রায় ১৮ কোটির হদিশ, অধরা মূল অভিযুক্ত আমির খান