RG Kar Case: CBI চার্জশিটে সন্তুষ্ট নন প্রাক্তন অধিকর্তা উপেন বিশ্বাস, ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে দিলেন বিশেষ পরামর্শ
RG Kar Doctor Death Case: ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে এসে সিবিআইয়ের প্রাক্তন অধিকর্তা উপেন বিশ্বাসের কাছে পরামর্শ চাইলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। কী বললেন উপেন বিশ্বাস ?
কলকাতা: শুক্রবার এবিপি আনন্দের স্টুডিও-তে ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে এসে এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-র মাধ্যমে সরাসরি সিবিআইয়ের প্রাক্তন অধিকর্তা উপেন বিশ্বাসের (EX CBI Director Upen Biswas) সঙ্গে কথা বলতে চান তিলোত্তমার বাবা-মা। তাঁদের মেয়ের মৃত্যু সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই যে তদন্ত করছে তা নিয়ে পরামর্শ চান। সুমন দে তাঁদের আর্জি অনুযায়ী যোগাযোগ করিয়ে দেন উপেন বিশ্বাসের সঙ্গে।
তিলোত্তমার বাবার প্রশ্ন: আমরা তো বিচারের আশায় বসে আছি। এই ব্যাপারে আপনার কোনও গাইডলাইন যদি থাকে?
উপেন বিশ্বাস: প্রথমত সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার অনুযায়ী সিবিআইয়ের একজন মধ্যস্থতাকারী অফিসার ওনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আর তদন্ত কতদূর এগোচ্ছে তা জানানোর জন্য রাখা হয়েছে। উনি নিশ্চয়ই জানেন তদন্ত কতটা এগিয়েছে। তিনি টাইম টু টাইম তিলোত্তমার বাবা-মাকে সেই কথা জানাচ্ছেন বলেই আমার বিশ্বাস। সিবিআই কী করতে চায় বলছেন। কিন্তু, ওনারা যদি সেই সম্পর্ক কিছু না জানেন তাহলে প্রশ্ন উঠবে।
দ্বিতীয়ত, আমি একটি রিকনস্ট্রাকশন করেছি। সিবিআইয়ের প্রাক্তন আধিকারিক হিসেবে যেভাবে করা হয় এই ধরনের ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি আমি চার্জশিটটা দেখেছি। কিন্তু, ওই চার্জশিটে সন্তুষ্ট নই। আমি পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই, এই চার্জশিটে আমি খুশি নই। তার কারণ কী? চার্জশিটে বলা হচ্ছে, সঞ্জয় খুন করেছে। কিন্তু, ওই চার্জশিটে সে কীভাবে খুন করেছে তার কোনও কথা উল্লেখ নেই। তারপর ওই মেয়েটির মাথা থেকে পা পর্যন্ত ২৪টি আঘাত হয়েছে। সেই ২৪টি আঘাতের বিষয়েও কোথাও উল্লেখ নেই তা সঞ্জয়ই করেছে। মেয়েটির যে মানসম্মান নষ্ট করেছে ওই ছেলেটি সেটারও কোনও উল্লেখ নেই। আর অন্য কোনও কথাই ওই চার্জশিটে বলা হয়নি।
প্রশ্ন: যে মেয়েটিকে চলে যেতে হয়েছে তাঁর বাবা-মাকে তদন্ত সম্পর্কে অবহিত করা হচ্ছে না। এই সম্পর্কে আপনি কী বলবেন?
উপেন বিশ্বাস: তার মানে ওনাদের তদন্ত সম্পর্কে কিছুই বলা হচ্ছে না। এই ঘটনা ঘটলে আমি বলব সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিচ্ছে সম্পূর্ণ তার বিপরীত কাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি সিবিআই এখনও প্রকাশ্যে আনেনি ঘটনাটি একা ঘটানো হয়েছে না একাধিক জন ঘটিয়েছে। ৫-৬ জন লোক মিলে যে ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা যদি একটা লোকের নামে চাপানো হয় তাহলে আমি মনে করি আমি যে সিবিআইতে কাজ করেছিলাম সেই সিবিআই আর নেই।
প্রশ্ন: এই অসহায় বাবা-মার কী করণীয়? তাঁরা কী করবেন? কোথায় আবেদন করবেন?
উপেন বিশ্বাস: তাঁদের প্রথমে সরাসরি চিঠি লিখতে হবে সিবিআইকে। তাতে উল্লেখ করতে হবে যে সুপ্রিম কোর্ট তদন্ত সম্পর্কে তাঁদের অবহিত করতে বলেছে। কিন্তু, সিবিআই সেটা করছে না। দ্বিতীয়ত, আবার যখন শুনানি হবে তখন তিলোত্তমার বাবা-মার উকিল সলিসিটার জেনারেলকে প্রশ্ন করবেন নয়তো সোজাসুজি প্রধান বিচারপতিকে বলবেন যে তাঁদের তদন্ত সম্পর্কে কিছুই জানানো হচ্ছে না। কতদূর কী এগোলো তা বলা হচ্ছে না।
প্রশ্ন: আদালতে মাসে একটা ডেট পাওয়া যাচ্ছে শুনানির জন্য। সেক্ষেত্রে ওনারা কোথায় কীভাবে আবেদন জানাবেন?
উপেন বিশ্বাস: আমি আগেই বলেছি য়ে আমি মোটেই সন্তুষ্ট নই এই চার্জশিটে। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখতে হবে দরকারে ই-মেল করতে হবে।
তিলোত্তমার বাবা: সিবিআইয়ের আধিকারিককে প্রশ্ন করলে, তিনি বলেন কাজ এগোচ্ছে। ধৈর্য্য ধরতে হবে।
উপেন বিশ্বাস: এই কথা বলবে চলবে না। সিবিআইকে পরিষ্কার বলতে হবে তদন্ত ঠিক কতদূর এগিয়েছে। আরও লোক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে কিনা তা জানানো হোক। আন্দাজে গুলি চালালে হবে না।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: RG Kar Case: কোথায় মুখ্যমন্ত্রীর মানবিকতা ? প্রশ্ন তুললেন জুনিয়র চিকিৎসকরা