Fake Call Center: বারাসাতে এবার ভুয়ো কল সেন্টার, 'স্ক্রিপ্ট লিখে' বিভিন্ন বয়সীদের ফাঁসিয়ে চলত প্রতারণা !
Barasat Fake Call Center: বিভিন্ন বয়সীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলার জন্য লেখা হতো আলাদা আলাদা স্ক্রিপ্ট। তারপর সেই বয়ান অনুসারে চলত জালিয়াতি কারবার।

সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগণা : বারাসাতে ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ। খোঁজ পেল বারাসাত সাইবার ক্রাইম থানা। ১০ জানুয়ারি, শুক্রবার বারাসাত ব্যারাকপুর রোডে একটি অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ভুযয়ো কল সেন্টারের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ॥ সেখান থেকে তিন মহিলা-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন। এই কল সেন্টার থেকে ফোন করে লোন-সহ একাধিক বিষয়ে বিভিন্ন মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হচ্ছিল। অনেকদিন ধরেই চলছিল এই কারবার। পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগও ছিল। অবশেষে ভুয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস করেছে পুলিশ। তল্লাশি অভিযানে মিলেছে সাফল্য।
জানা গিয়েছে, বারাসাতের এই ভুয়ো কল সেন্টার থেকে অভিনব উপায়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হতো। রীতিমতো স্ক্রিপ্ট লিখে দেওয়া হতো ফোন করার আগে। কাকে, কীভাবে, কী বোঝাতে হবে সেই মতো লেখা হতো আলাদা আলাদা স্ক্রিপ্ট। কল সেন্টারের কর্মীদের হাতে থাকত স্ক্রিপ্ট। সেই অনুযায়ী তারা এক একজনকে ফোন করে প্রতারণার ফাঁদ। গ্রাহক যে বয়সের, সেই অনুযায়ী লেখা হতো স্ক্রিপ্ট। উদাহরণস্বরূপ কম বয়সীদের সঙ্গে প্রতারণার স্ক্রিপ্ট হতো এক ধরনের। আবার বয়স্কদের সঙ্গে প্রতারণার জন্য স্ক্রিপ্ট লেখা হতো অন্যভাবে। অবশেষে ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কাদের সঙ্গে কীভাবে প্রতরণা করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দিনে দিনে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে বারাসাত ?
সম্প্রতি চর্চায় রয়েছে জাল নথির কারবার। এই কাণ্ডে একের পর এক গ্রেফতার হয়েছে বারাসাত থেকে। বারাসাত আদালতে মুহুরি পরিচয়ে কাজ করতেন সমীর দাস। পুলিশের জালে পাকড়াও হয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, বারাসাত আদালতের মুহুরি তো ছিলেনই না, বরং জাল নথির কারবারের অন্যতম মাথা ছিলেন তিনি। কোভিডের সময় থেকেই শুরু হয় ব্যবসার রমরমা। একবছরের মধ্যে একতলা সাধারণ বাড়ি হয়ে যায় চারতলা মহল। শুধু সমীর নন, গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর ২ ঘনিষ্ঠ সহযোগীও। আরেক পলাতক সহযোগীর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এঁদের কাজ ছিল বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ভুয়ো নথি তৈরি করে দেওয়া। আদালতের হলফনামার সাহায্যে, নিজের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে, নিজের ঠিকানার সাহায্যে সমীর দাস বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ভুয়ো নথি তৈরি করে দিতেন। এর জন্য অনুপ্রবেশের অনেক আগে থেকেই পড়শি দেশ থেকে তাঁর কাছে আসত বরাত।






















