Fake Document Case: নুরুল হক কীভাবে হয়েছিল নারায়ণ অধিকারী? জাল নথি চক্রের রহস্যভেদে আরও তৎপর বারাসাত থানার পুলিশ
Fake Documents: বাংলাদেশের নাগরিকদের নিয়েই জাল নথির কারবার ফেঁদে বসেছিল বারাসাতের বাসিন্দা সমীর দাস। নুরুল হককে নারায়ণ অধিকারী বানানোর পিছনেও ছিল তারই হাত।

Fake Document Case: কীভাবে ওপারের নুরুল এপারের নারায়ণ? জাল নথি-চক্রের রহস্য ভেদে নুরুলকে হেফাজতে নিল বারাসাত থানার পুলিশ। আরেক অনুপ্রবেশকারী শেখ রফিকুল ইসলামেরও ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে। বাংলাদেশের নাগরিকদের নিয়েই জাল নথি-চক্রের কারবার সমীর দাসের। সমীরের সহযোগী ধৃত ৭ জনই বাংলাদেশের বাসিন্দা। নুরুলের জাল নথি তৈরি করে দিয়েছিল ধৃত সমীর, পুলিশ সূত্রে দাবি। কীভাবে নাম ভাঁড়িয়ে আধার কার্ড তৈরি হত তা জানতে, দুই অনুপ্রবেশকারী নুরুল হক ও শেখ রফিকুল ইসলামকেও গতকাল হেফাজতে নিয়েছে বারাসাত থানার পুলিশ।
বাংলাদেশের নুরুল হক ভারতে এসে হয়ে গিয়েছিল নারায়ণ অধিকারী। রফিকুল ইসলাম আবার ভারতে ঢুকে বারাসাতে পেল্লাই বাড়িও বানিয়ে ফেলেছিল। দত্তপুকুর থেকে ধৃত রফিকুল ইসলাম এবং নুরুল হক ওরফে নারায়ণ অধিকারীর নথি তৈরি করে দিয়েছিল নথি-জালকাণ্ডে ধৃত সমীর দাস, দাবি পুলিশের। রফিকুল ও নারায়ণ অধিকারীকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাতে পারে বারাসাত থানার পুলিশ, একথ আগেই জানা গিয়েছে। এবার নুরুল হক এবং রফিকুল ইসলাম, দু'জনকেই হেফাজতে নিয়েছে বারাসাত থানার পুলিশ।
বাংলাদেশ থেকে বেআইনি ভাবে এদেশে আসা অনুপ্রবেশকারীদের হাতে দ্রুত নথি তুলে দেওয়ার ব্যাপারে এক্সপার্ট ছিলেন এই সমীর দাস, এই তথ্য আগেই জানিয়েছে পুলিশ। আর সেই জন্য বাংলাদেশে বেশ নামডাকও ছিল তাঁর। শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশেও জাল নথি তৈরির ব্যবসার ফাঁদ বিছিয়ে রেখেছেন বারাসাত থেকে ধৃত সমীর দাস।
বাংলাদেশের নাগরিকদের নিয়েই জাল নথির কারবার ফেঁদে বসেছিল বারাসাতের বাসিন্দা সমীর দাস। গতকাল ২ জনকে গ্রেফতার করে বারাসাত থানার পুলিশ। ধৃত জ্যোতির্ময় দে বাংলাদেশের খুলনা জেলার মাগুরার বাসিন্দা। বারাসাত নবপল্লিতে থাকত জ্যোতির্ময়। নিজের বার্থ সার্টিফিকেট, আধার কার্ড বানিয়ে ফেলার পাশাপাশি, অনুপ্রবেশকারীদের জাল আধার কার্ড, ভোটার কার্ড তৈরি করে দিতে সাহায্য় করত। সমীরের সহযোগী ধৃত ৭ জনই বাংলাদেশের বাসিন্দা। অপর ধৃত বিবেক বেরার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায়। এর আগে বারাসাত নবপল্লির বাসিন্দা রূপক মণ্ডল, হৃদয়পুরের বাসিন্দা তমাল হালদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তমালের বাড়ি থেকে মেলে আধার তৈরির সরঞ্জাম। আধার লিঙ্ক যেত বিবেকের কাছে। বিবেকের ল্যাপটপেই তা খোলা হত। বানিয়ে ফেলা হত ভুয়ো আধার, ভোটার কার্ড।
বঙ্গে আরও গভীরে জালনথি চক্র? বারাসাতে ব্যান্ড মালিকের বিরুদ্ধে জালনথি তৈরির অভিযোগ। বাংলাদেশিদের জালনথি তৈরি করে দিতেন ধৃত, দাবি পুলিশের। ধৃত ইন্দ্রজিৎ দে-কে ৩দিনের পুলিশ হেফজাতের নির্দেশ। অন্যদিকে ধৃত ইন্দ্রজিৎ দে-র বিজেপি যোগ পাওয়া গিয়েছে। ২০২২-এ বারাসাত পুর নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ইন্দ্রজিৎ দে। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থী হন ইন্দ্রজিৎ দে।
আরও পড়ুন- টালিগঞ্জে গ্রেফতার আফগান যুবক, উদ্ধার একাধিক জাল নথি





















