Fake Medicine: নিয়মিত খাচ্ছেন না তো? গুণগত মানের পরীক্ষায় ফের ফেল আরও ৫১ টি ওষুধ
Medicine: দেশে বিভিন্ন ল্যাবে গুনগত মানের পরীক্ষায় ফেল করেছে ৫১ টি ওষুধ। যার মধ্যে পাঁচটি জাল ওষুধ রয়েছে বাজারে। স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলের বিবৃতিতে সামনে এল এমনই চাঞ্চল্য়কর তথ্য়।

ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: দেশের বিভিন্ন ল্যাবে গুণগত মানের পরীক্ষায় ফেল করল আরও ৫১ টি ওষুধ। যার মধ্যে পাঁচটি জাল ওষুধ রয়েছে বাজারে (Fake Medicine)। স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলের এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। ওষুধগুলির ব্যাচ নম্বর উল্লেখ করে খুচরো ও পাইকারি বিক্রেতাদের সেগুলি বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে। বিক্রি হয়ে থাকলে, সেই তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
গুণগত মানের পরীক্ষায় ফেল: দেশে বিভিন্ন ল্যাবে গুনগত মানের পরীক্ষায় ফেল করেছে ৫১ টি ওষুধ। যার মধ্যে পাঁচটি জাল ওষুধ রয়েছে বাজারে। স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলের বিবৃতিতে সামনে এল এমনই চাঞ্চল্য়কর তথ্য়। আর এতেই সাধারণ মানুষের মধ্য়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এরকম কোনও ওষুধ তাঁদের বাড়িতে নেই তো? তাঁদের বাড়ির কেউ এরকম ওষুধ খাচ্ছেন না তো? এই ভয়ের কারণও আছে। স্টেট ড্রাগ স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ফেল করা ওষুধের তালিকায় রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, যার মধ্যে নেই অ্যান্টিবায়োটিকের উপাদানই। রয়েছে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন আটকানোর ট্যাবলেট ও ইঞ্জেকশনে। যেগুলির মধ্যে ইনফেকশন আটকানোর কোনও উপাদানই নেই।
এই সমস্ত জাল ওষুজ বাজার থেকে সরিয়ে নিতে, বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাই ব্লাড প্রেসারের ওষুধ টেলমিসারটন অ্যান্ড অ্যামলোডিপিন বাসিলেট ট্যাবলেটে উপাদান ঠিক নেই, যা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে শরীরে। অ্যাজিকিওর ফাইভ হানড্রেড অ্যাজিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট নাক, কান, গলা, ফুসফুসের সংক্রমণে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই ওষুধটিতে অ্যান্টিবায়োটিকের উপাদানই নেই। প্রোসিন টু ফিফটি ট্যাবলেট সেপটিসেমিয়া এবং টিউমারের ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের জন্য ব্যবহার করা হয়।রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর, ট্যাবলেটটিতে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন রোখার কোনও উপাদান নেই।
রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে- ব্রেন ও স্পাইনাল কর্ডের ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন এবং রক্তে সংক্রমণ রুখতে জেনটামাইসিন ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের উপাদান কম রয়েছে। যার ফলে ইঞ্জেকশনটি দেওয়ার পর কাজ নাও করতে পারে। ডেক্সামেথাজোন সোডিয়াম ফসফেট ইঞ্জেকশন এলার্জি সংক্রমণ রুখতে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ওষুধের উপাদান ঠিকমতো নেই। এছাড়াও দু'টি ওষুধের প্যাকেট নকল করা হয়েছে। ওষুধগুলির ব্যাচ নম্বর উল্লেখ করে খুচরো ও পাইকারি বিক্রেতাদের ওই ওষুধগুলি বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে। আর বিক্রি হয়ে থাকলে, সেই তথ্য দিতে বলা হয়েছে।






















