Kolkata News: অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর বাবা ইডি-র স্ক্যানারে, গার্ডেনরিচে উদ্ধার 'কালো টাকা' খাটত কোথায়?
ED In Mobile App Fraud: গার্ডেনরিচে টাকা উদ্ধারকাণ্ডে এবার স্ক্যানারে আমির খানের বাবা নিসার খানের ব্যবসা। গার্ডেনরিচে নিসার খানের বাড়ির কাছেই তাঁর পরিবহণ সংস্থার অফিস। নাম সঙ্গম ট্রান্সপোর্ট।

অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: গার্ডেনরিচে (Garden Reach) টাকা উদ্ধারকাণ্ডে (money recover) এবার স্ক্যানারে (radar) আমির খানের বাবা নিসার খানের (nisar khan) ব্যবসা। গার্ডেনরিচে নিসার খানের বাড়ির কাছেই তাঁর পরিবহণ সংস্থার (transport company) অফিস। নাম সঙ্গম ট্রান্সপোর্ট। গত কাল নিসারের বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধারের পর তাজ্জব স্থানীয় বাসিন্দারা। নিসারের অফিস তালাবন্ধ। স্থানীয়দের দাবি, নিসার অফিসে এলেও, আমিরকে খুব একটা দেখা যেত না। কালো টাকা সাদা করার জন্যই কি বাবার পরিবহণ ব্যবসায় টাকা ঢালতেন আমির? খতিয়ে দেখছে ইডি।
যা জানা গেল...
জানা গিয়েছে, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোডেই নিসার খানের পরিবহণ সংস্থার অফিস। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, গত কাল সকালের পর থেকে এই অফিস আর খোলা হয়নি। আরও কিছু বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। যেমন, নিসার কখন অফিস আসতেন আর কখন বেরিয়ে যেতেন তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন স্থানীয়রা। ছেলে আমির খানকেও সময় দেখা যেত না, জানালেন স্থানীয়রা। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিবহণ ব্যবসা নিয়ে বেশ কিছু ধন্দ ছিল প্রত্যেকের মনে। আমিরের মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণা থেকে আসা কালো টাকা এখানে খাটত কিনা, সেটা নিয়েও প্রশ্ন করছেন অনেকে। সব মিলিয়ে ইডি-র রেডারে রয়েছেন নিসার খানও। এখনও হদিশ নেই আমির খানের।
উদ্ধার কোটি কোটি টাকা...
গত কাল ইডি-র অভিযানে ফের জুলাইয়ের ছবি ফিরল শহরে। কলকাতায় ফের ‘যকের ধনে’র হদিশ। এবার টাকার পাহাড়ের খোঁজ গার্ডেনরিচে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা, খবর ইডি সূত্রে। খাটের তলা থেকে উদ্ধার বান্ডিল বান্ডিল নোট। ৮টি যন্ত্র দিয়ে ১২ ঘণ্টা ধরে চলল টাকা গোনার কাজ। ৫টি ট্রাঙ্ক ভরে টাকা নিয়ে যাওয়া হল এসবিআইয়ে। গেমিং অ্যাপ প্রতারণায় মূল অভিযুক্ত আমির খান পলাতক। পরে মোবাইল গেমিং অ্যাপ ই-নাগেটস নিয়ে ইডি-র কাছে নতুন তথ্য আসে। সূত্রের খবর, লকডাউনের সময় এই অ্যাপের রমরমা বেড়েছিল। দিনদিন বাড়তে থাকে ইউজারের সংখ্যা। লকডাউনের সময় পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দিনে ৩-৪ হাজার টাকা রোজগারের টোপ দেওয়া হত। অ্যাপের মাধ্যমে চলত টাকা নেওয়া। কবে কোথা থেকে টাকা তোলা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ইডি-র তদন্তকারীদের হাতে এসেছে বলে সূত্রের খবর। এই উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে। সূত্রে দাবি, ২০২০-র ২৬ ডিসেম্বর পার্ক স্ট্রিট থানা ও লালবাজারের গোয়েন্দা শাখায় অভিযোগ দায়ের করে ফেডারেল ব্যাঙ্ক। কিন্তু তখন টনক নড়েনি পুলিশের, অভিযোগ এমনই। এরপর ২০২১-এর ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতের দ্বারস্থ হয় ফেডারেল ব্যাঙ্ক। এরপর আদালতের নির্দেশে তত্পর হয় পুলিশ। পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ এফআইআর দায়ের করে। খবর ইডি সূত্রে।
আরও পড়ুন:সিবিআই-ইডির সঙ্গে 'কুকুরের' তুলনা, বিতর্কে জড়ালেন হাসনের তৃণমূল বিধায়ক






















