Maheshtala Fire: মহেশতলায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত ৩
Cracker Factory Fire:মহেশতলায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে এখনও পর্যন্ত।পুটখালি মণ্ডলপাড়ায় এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে বলে খবর।
শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা: মহেশতলায় বাজি কারখানায় (Maheshtala Blast) ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে এখনও পর্যন্ত। পুটখালি মণ্ডলপাড়ায় এক বাজি কারখানায় (cracker factory fire) বিস্ফোরণ ঘটে বলে খবর। কারখানার মালিক ভরত হাতির স্ত্রী লিপিকা ও পুত্র শান্তনু মারা যান। মৃত্যু হয়েছে প্রতিবেশী এক কিশোরীরও। নোদাখালি, পাঁশকুড়ার পরে এবার মহেশতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ।
যা জানা গেল...
দমকলকর্মীরা আপ্রাণ আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। যদিও বসতবাড়িতে কী ভাবে বাজি কারখানা চলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। তাদের চোখের সামনে দিয়ে কী ভাবে জনবসতি এলাকায় বাজি কারখানা চলছিল? যেখানে বিস্ফোরণ ঘটে, সেখানে কারখানা ও গুদাম থাকায় তা আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সূত্রের খবর, কারখানার ভিতর পটাশিয়াম, সোডিয়াম জাতীয় রাসায়নিক রাখা রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা। দমকলকর্মীদের একাংশের দাবি, আগুন নেভানোর জন্য় জল দিতে গিয়েও কিছু ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। আগুন খতিয়ে দেখতে আসেন দমকলের ডিজি অভিজিৎ পাণ্ডে। বলেন, 'এলাকাটি যে জনবসতিপূর্ণ তা তো দেখাই যাচ্ছে। এর মধ্যে এই ধরনের কিছু থাকারই কথা নয়।যে ঘটনাটি ঘটেছে তার মধ্যে অন্য কিছুও রয়েছে। সেটি দেখছি। তবে অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা কিছু ছিল না।'
দীপাবলিতেও আগুন...
এর আগে দীপাবলিতে বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে বিধ্বংসী আগুন লেগেছিল। ঘটনার দিন দুপুর ২টো নাগাদ বিধ্বংসী আগুন লাগে বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন। আগুন নেভানোর কাজ চলে টানা। দমকল সূত্রে খবর, ছাদে আটকে পড়েছিলেন ১১ জন। তবে তাঁদের প্রত্যেককেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়। চর্মনগরীর জোন ৫-এ কারখানা ও গুদাম মিলিয়ে বিরাট এলাকায় আগুন লাগে সে বার। পাঁচ তলা ভবনের বিস্তীর্ণ অংশে এখনও আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, কোনও ভাবে বাজি থেকে এই অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়ে থাকতে পারে। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, তাতে কারখানা ও গুদামে বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ ও রাসায়নিক রাখা ছিল। সম্ভবত তার ফলেই আগুন গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে উপরের তলাগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। চিন্তার বিষয় হল, যখন অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়েছে তখনও কারখানার ভিতরে জনা পনেরো শ্রমিক কাজ করছিলেন। তাঁরা আটকে পড়েন। উপায় না দেখে একসময়ে পাঁচ তলার ছাদে ছুটে যেতে হয় তাঁদের। স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও দমকলকর্মীদের তৎপরতাতেই তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন:'কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে CRPF মোতায়েনে সমস্যা রয়েছে', আদালতে জানাল কেন্দ্র