Adenoviruses: শিশুমৃত্যু বৃদ্ধিতে উদ্বেগ, 'সরকার সতর্ক রয়েছে', বললেন ফিরহাদ
Firhad Hakim: তবে গরম বাড়ছে, তাই ভাইরাসের প্রকপ কমছে, দাবি মেয়র ফি্রহাদ হাকিমের।
কলকাতা: রাজ্য জুড়ে বাড়ছে অ্যাডিনো আতঙ্ক! বি সি রায় হাসপাতালে ১৩ ঘণ্টায় আরও ৭ শিশুর মৃত্যু। এই নিয়ে দুই মাসে রাজ্যে ৯৫ জন শিশুর মৃত্যু হল। যে সব হাসপাতালে শিশুদের বহির্বিভাগ নেই, সেখানে অ্যাাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস ক্লিনিক খোলার জন্য পাঠানো হচ্ছে বাড়তি চিকিৎসক, জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব।
এমন পরিস্থিতিতে ফের রাজ্যবাসীকে আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছেন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, "সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। মুখ্যমন্ত্রী বার বার বৈছক করছেন। কথা বলছেন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। একটা শুধু ভাল খবর যে, গরম যথেষ্ট পড়েছে। নিউমোনিয়া-সহ বাচ্চাদের মধ্যে যে অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে, তার প্রকোপ কমে এসেছে।"
এ দিকে, বি সি রায় হাসপাতাল সূত্রের খবর, ভয়াবহ অ্যাডিনো-আতঙ্কের মধ্যে রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত মাত্র ১৩ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে সাত শিশুর। মঙ্গলবার জ্বর, নিউমোনিয়া থাকায় বি সি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বনগাঁ মালঞ্চর বাসিন্দা চারমাসের শিশুকে। ভেন্টিলেশনে থাকাকালীন রবিবার ভোর ৪টে নাগাদ তার মৃত্যু হয়।
একইসঙ্গে সকাল ৬টা নাগাদ বি সি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দা ১ বছর ৭ মাসের শিশুকন্যার। জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৮ দিন ধরে ভর্তি ছিল ওই শিশু। অন্য দিকে, দেগঙ্গার বাসিন্দা আড়াই মাস বয়সী শিশুকন্যা সোমবার থেকে বি সি রায় হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি ছিল। দুপুর ১টা নাগাদ তার মৃত্যুু হয়।
এ ছাডা়ও মৃত্যু হয়েছে দেগঙ্গা, বসিরহাটের বাসিন্দা দুই শিশুর। গোবরডাঙার বাসিন্দা এক ৬ মাসের শিশুকন্যারও এদিন মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে মেজাজ হারান স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী। সাংবাদিকদের ছবি তুলতে নিষেধ করেন তিনি। শিশু মৃত্যু নিয়ে খবর করাতেও আপত্তি জানান স্বাস্থ্য অধিকর্তা। পরে তিনি দাবি করেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি কিন্তু কোনও হাসপাতালেও যাই না, অনুমতি ছাড়া। আমরা মাইক নিয়ে চলে যাচ্ছেন, তাতেও তো ভাইরাস ঢুকছে। হাসপাতালে একটি প্ল্যাটফর্ম করে দেওয়া হবে, খবর জানার অধিকার আছে। কিন্তু দয়া করে ভিতরে ঢুকবেন না। কারণ এতে ভাইরাস ঢুকে যায়। কারণ আপনাদের অনেক জায়গায় যেতে হয়।" সব মিলিয়ে গত ২ মাসে মৃত শিশুর সংখ্য়া বে়ড়ে দাঁড়াল ৯৫!
সূত্রের খবর, তার মধ্যে বি সি রায় শিশু হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে ৪০ জন শিশুর।