Flight Fare: ' বিমানে ৪০ হাজার টাকা বেশি গেল যাতায়াতে..' ! ভয়াবহ অভিজ্ঞতা উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরা নবদ্বীপের বাসিন্দার
Flight Fare Hike During North Bengal Disaster : বিপর্যয় ঘটলেই কেন মহার্ঘ হয়ে ওঠে উড়ানের টিকিট? কী করে কেন্দ্রীয় সরকার বা অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রক? প্রশ্ন উঠছে।

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে! সাধারণ মানুষের যখন সর্বনাশ, উড়ান সংস্থাগুলির পৌষমাস! উত্তরঙ্গে বিপর্যয়ের পর তড়িঘড়ি ঘরে ফিরতে যখন বিমানই ভরসা মানুষের, তখন টিকিটের আকাশছোঁয়া দাম! ট্রেনের টিকিট নেই, বাসের ভাড়া কয়েক গুণ, তার ওপর আগুন দাম আকাশ পথেও। বিপর্যয় ঘটলেই কেন মহার্ঘ হয়ে ওঠে উড়ানের টিকিট? কী করে কেন্দ্রীয় সরকার বা অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রক? প্রশ্ন উঠছে।
দক্ষিণে যখন উৎসবের আবহ, উত্তরে তখন ভয়াবহ বিপর্যয়!পর্যটন যার রুটি-রুজি-দিন যাপন, উৎসবের মরশুমে বিশাল ধাক্কা খেয়েছে সেই পাহাড়! সেই ধাক্কায় সাধারণ মানুষের সর্বনাশ, উড়ান সংস্থাগুলির পৌষমাস! কারণ, বেশিরভাগ রাস্তা বন্ধ থাকায় পাহাড়ে আটকে পড়া পর্যটকদের দ্রুত ঘরে ফিরতে ভরসা আকাশপথ। অভিযোগ, বিপর্যয়ের পরই অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে কলকাতা ফেরার বিমান ভাড়া। সাধারণত বাগডোগরা থেকে কলকাতায় আসাব বিমান ভাড়া আড়াই থেকে তিন হাজারের মধ্যে। কিন্তু এখন কোনও বিমান সংস্থা বাগডোগরা থেকে কলকাতায় ফিরতে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার টাকা নিচ্ছে..তো কেউ আবার ভাড়া এক লাফে ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছে।
উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরা দমদম পার্কের বাসিন্দা মৌমিতা ভড়ের, যে গাড়িতে এসেছিল ডলব টাকা নিয়েছে। বিপদের সময় সুযোগ নিচ্ছে উড়ান সংস্থাগুলি , উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরা নবদ্বীপের বাসিন্দা রোহন আগরওয়াল বলেন, গাড়িতে ১৪ ঘণ্টা কাটিয়ে আমরা স্টেশনে আসি। ট্রেন ক্যানসেল। ২ দিন হোটেলে থেকে ফ্লাইটে এলাম। ১০ হাজার টাকা ভাড়া নিয়েছে। ট্রেনের টিকিট নেই, গাড়ি বা বাসের ভাড়া ২গুণ, ৩ গুণ! যাত্রীদের অভিযোগ, বাধ্যে হয়ে উড়ানের টিকিট কাটতে হয়েছে মোটা টাকা দিয়ে।
উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরা ব্যারাকপুরের বাসিন্দা শ্রীজয়ী দাস বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরা নবদ্বীপের বাসিন্দা রাজেশ আগরওয়াল বলেন, ৪০ হাজার টাকা বেশি চলে গেল যাতায়াতে। ঝোপ বুঝে কোপ মারার এই ইতিহাস বহু পুরনো। বিপর্যয় ঘটলেই মহার্ঘ হয়ে ওঠে উড়ানের টিকিট। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেও ঘটে একই ঘটনা। হাজার হাজার মানুষ যখন আতঙ্কিত, পরিবার-পরিজন উদ্বিগ্ন, তখন বিমান সংস্থাগুলি ব্যস্ত ছিল অতিরিক্ত মুনাফা লুটতে!২৪ এবং ২৫ এপ্রিল শ্রীনগর থেকে কলকাতায় ফেরার উড়ানের টিকিটের সর্বোচ্চ দাম ওঠে প্রায় ৮২ হাজার টাকা। ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় কলকাতা থেকে বাগডোগরা, বিমানের টিকিটের দাম দাঁড়ায় ৩৬ হাজার থেকে ৪৪ হাজার টাকা। কলকাতা থেকে গুয়াহাটি বিমানের টিকিট কাটতে হয় ২২ হাজার থেকে ৩৮ হাজার টাকায়।
প্রাক্তন জয়েন্ট জেনারেল ম্যানেজার, ATC, কলকাতা বিমানবন্দর তাপস অধিকারী বলেন,আমরা দেখেছি, ডিজাস্টার হলেই ফেয়ার বেড়ে যায়। এটা তো ঠিক নয়। মানুষের অসুবিধা হয়। ইমার্জেন্সির সময় বেশি উড়ান বাড়িয়ে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। ২০৩০-এ তৃতীয় বৃহত্তম উড়ান পরিষেবাকারী দেশ হবে ভারত। সরকার কেন করছে না কেন? আর এখানেই প্রশ্ন, বারবার যখন দুর্যোগে-দুর্ঘটনায় কিংবা উৎসবের সময় টিকিটের দাম এরকম আকাশছোঁয়া করে দেয় বিমান সংস্থাগুলি, তখন কেন্দ্র সরকার কী করে? অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রক কেন স্থায়ী কোনও পদক্ষেপ করে না? কেন চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ার মতো প্রতিবার কিছুদিন পরে পরে তাদের ব্য়বস্থা নিতে দেখা যায়?






















