Laxmi Puja 2024: হাতির হাত থেকে ফসল বাঁচাতে গজলক্ষ্মীর আরাধনা, প্রায় ১২৬ বছরের পুজো বাঁকুড়ায়
Bankura GajoLaxmi Puja 2024 মকানালী গ্রামের ৪০টি মাহিষ্য পরিবারের প্রধান পুজো এই গজলক্ষী
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: হাতির হাত থেকে ফসল বাঁচাতে গজলক্ষ্মীর আরাধনা বাঁকুড়ায়। হাতির হাত থেকে মাঠের ফসল বাঁচাতে এই আরাধনা গ্রামের মানুষের। জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম রামকানালী। যেখানে হামেসায় ঢুকে পড়ে হাতির দল। ক্ষতি করে এলাকার ফসল। সেই হাতির হাত থেকে ঘরের লক্ষী অর্থাৎ মাঠের ফসল বাঁচাতে গ্রামে শুরু হয়েছিল গজ লক্ষীর আরাধনা। প্রায় শতাব্দী প্রাচীন এই পুজো। প্রাচীন রীতি রেওয়াজ ও বিশ্বাসের উপর ভর করে বাঁকুড়ার রামকানালী গ্রামে গজলক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে উঠেন গ্রামের মানুষ।
বাঁকুড়ার রামকানালি গ্রামে মহাধুমধামে পুজিতা হন দেবী লক্ষ্মী। তবে প্রতিমার দিক থেকেই হোক বা আচার অনুষ্ঠান, আর পাঁচটা লক্ষ্মী পুজোর সঙ্গে মেলেনা রামকানালি গ্রামের মাহিষ্য পরিবারের লক্ষ্মীপুজোর ধরণ ধারণ। এখানে লক্ষীর প্রতিমার অবস্থান হাতির পিঠে। আর এলাকায় মানুষ নামকরণ করেছেন গজলক্ষ্মী। প্রায় ১২৬ বছরের প্রাচীন এই পুজো। পূর্ব পুরুষদের হাতে গড়া এই পুজো আজও সমান ভাবে পালন করে চলেছেন মাহিষ্য পরিবারের মানুষজন। হাতির হাত থেকে ফসল বাঁচাতে হাতির আরাধনা লক্ষীদেবীর সঙ্গে।
রামকানালী গ্রামের ৪০টি মাহিষ্য পরিবারের প্রধান পুজো এই গজলক্ষ্মী। কৃষি প্রধান গ্রাম। জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে রয়েছে কৃষিজমি। জঙ্গলের হাতি হামেশাই হামলা চালায় গ্রামের কৃষি জমিতে। সেই গজরাজদের হাত থেকে মাঠের ফসল বাঁচিয়ে লক্ষ্মীলাভের আশায় তাই লক্ষ্মী পুজোর পাশাপাশি একই সঙ্গে গজরাজের আরাধনা করেন গ্রামের মানুষ। গ্রামে রয়েছে মন্দির আজও সেখানে পালিত হন দেবী গজলক্ষী। এলাকার মানুষের বিশ্বাস গজলক্ষীর আরাধনার মধ্যে গজরাজ সন্তুষ্ট হবে ফসলের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন মাঠের লক্ষী বাড়িতে তুলে আনবেন।
আরও পড়ুন, লক্ষ্মী পুজোর সকালেই বৃষ্টি শুরু কলকাতায়, আশঙ্কা বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, কেমন থাকবে আবহাওয়া ?
খাবারের খোঁজে অনেকসময়ই হাতির দল লোকালয়ে নেমে আসে। কখনও খাবার পায়, কখনও আবার চাষের জমিতে হামলা চালায়। কখনও আবার হাতি নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়। তবে এবার ঘুমের ঘোরে আর দাঁতালের মুখোমুখি হতে হবে না। বাঁকুড়া উত্তর বর্ণ বিভাগের বেলিয়াতোড় ফরেস্ট রেঞ্জের উদ্যোগে এক বিশেষ কৌশল নেওয়া হয়েছে বুনো হাতিদের জন্য। উত্তরবঙ্গ থেকে বিশেষ ঘাস এনে লাগানো হয় জঙ্গল এলাকায় এবং হাতিদের প্রিয় খাবার ও খাবার যোগ্য যে সমস্ত দেশি ফলের গাছ রয়েছে যেমন কলা, কাঁঠাল, ইত্যাদি গাছ লাগানো হচ্ছে বেলিয়াতোড় রেঞ্জের জঙ্গলে।এতে খুশি সাধারণ মানুষ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।