Gangasagar Mela 2024 : গঙ্গাসাগরে গিয়ে স্ট্রোকের মতো অ্যাটাক ! তড়িঘড়ি এয়ারলিফট, কলকাতার হাসপাতালে আনা হল বিহারের পুণ্যার্থীকে
Gangasagar Mela Airlift : মহিলাকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এয়ারলিফট করে নিয়ে আসা হয় হাওড়ায়। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো ভর্তি করা হয় টালিগঞ্জির এম আর বাঙুর হাসপাতালে।
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : কথায় বলে সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। সেই সাগর মেলায় পুণ্যস্নানে এসে রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক প্রৌঢ়া। বিহারের বাসিন্দা সুমিত্রা দেবী এসেছিলেন কপিল মুনির আশ্রম দর্শনের আশায়। কিন্তু এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি যে এয়ার লিফট করে তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। গঙ্গাসাগর থেকে প্রথমে এয়ারলিফট করে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম লাগোয়া হেলিপ্যাডে আনা হয় তাঁকে। তারপর কলকাতার হাসপাতালে।
সূত্রের খবর, বিহার থেকে তীর্থ করতে এসে সাগরে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বমিও হয়। সেখানকার মেডিক্যাল ক্যাম্পে চেক আপের পর তাঁকে তড়িঘড়ি কলকাতায় পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এমআর বাঙ্গুরে স্থানান্তরিত করার কথা লিখে দেন চিকিত্সকরা। আর তখনই তাঁকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এয়ারলিফট করে নিয়ে আসা হয় হাওড়ায়। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো ভর্তি করা হয় টালিগঞ্জের এম আর বাঙুর হাসপাতালে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর Trasient Ischemic Attack হয়েছিল। এটি এক ধরনের স্ট্রোকই। এর প্রভাব ক্ষণস্থায়ী । একে TIA-ও বলা হয়ে থাকে। চলতি কথায় কেউ কেউ মিনি স্ট্রোকও বলে থাকেন। মস্তিষ্কের কোনও অংশে রক্ত সরবরাহ সাময়িকভআবে বিঘ্নিত হলে এই বিপদ আসতে পারে। টিআইএ উপসর্গ সাধারণত হঠাৎই আসে, আবার চলেও যায়। স্ট্রোকের মতো দীর্ঘস্থায়ী হয় না। www.ninds.nih.gov - এর তথ্য অনুসারে, টিআইএর বেশিরভাগ উপসর্গ এক ঘন্টার মধ্যে চলেও যায়। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। লক্ষণগুলি মোটামুটি এইরকম -
- মুখ, হাত বা পায়ে অসাড়তা বা দুর্বলতা ( বিশেষ করে শরীরের একপাশে )
- এক বা উভয় চোখে দেখতে সমস্যা
- হাঁটতে অসুবিধা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন সুমিত্রা দেবী। তাঁর সিটিস্ক্যান করা হয়েছে। এই বছর গঙ্গাসাগর মেলা থেকে কাউকে প্রথম এয়ারলিফট করে নিয়ে আসা হল। ১২ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্য পরিবহণ দফতরের উদ্যোগে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু থাকছে ।
এই জনসমাগমের কথা মাথায় রেখে একগুচ্ছ বন্দোবস্ত করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে - মেগা কন্ট্রোলরুমে থাকছে ১ হাজার ১৫০ টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা
- রাখা হচ্ছে দমকলের ৫০ টি ইঞ্জিন
- সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট সাড়ে চার হাজার বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে
- ২১ টি জেটি থেকে যাতায়াত করবে ১০০ টি লঞ্চ
- থাকছে ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স ও এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স
আরও পড়ুন :বাংলায় একসঙ্গে ৮টি নমুনায় করোনার JN.1 উপপ্রজাতির হদিশ! সংক্রমণ নিয়ে কী পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর?