West Bengal Coronavirus: বাংলায় একসঙ্গে ৮টি নমুনায় করোনার JN.1 উপপ্রজাতির হদিশ! সংক্রমণ নিয়ে কী পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর?
West Bengal Corona Update : কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, বাংলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ জন নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : নতুন বছরেও রাজ্যে করোনা ভাইরাসের চোখ রাঙানি কমছেই না। একসঙ্গে ৮টি JN.1 উপপ্রজাতির হদিশ মিলল বাংলাতেই। করোনার নতুন উপপ্রজাতি JN.1 এবার অনেকের শরীরেই থাবা বসিয়েছে। তবে তা এখনও একটা ঢেউ-এর জায়গায় না পৌঁছলেও রাজ্যে রাজ্যে বাড়ছে JN.1 এর প্রকোপ। করোনা আক্রান্তদের থেকে নমুনা নিয়ে জিনম সিকোয়েন্সিং করা হলে তবেই বোঝা যায়, করোনার কোন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগী।
কী বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট?
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আওতাধীন ইনসাকগ ( INSACOG) সূত্রে খবর মিলেছে, বাংলা থেকে যাওয়া নমুনাগুলি পরীক্ষা করে একসঙ্গে ৮টি জেএন ডট ওয়ান উপপ্রজাতির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। NATIONAL INSTITUTE OF BIOMEDICAL GENOMICS - এ শেষ যে স্যাম্পলগুলি পাঠানো হয়েছিল, সেই ব্যাচেই একসঙ্গে ৮ টি নমুনায় পাওয়া গিয়েছে জেএন ওয়ান। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, বাংলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ জন নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০৯ জন। দেশে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৬৮ ।
মুখ্যমন্ত্রী যা বলছেন ...
নতুন বছরও করোনা সংক্রমণ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ' ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। আতঙ্কের কারণ নেই... যেহেতু আমেরিকা আর স্পেনে বাড়ছে। হয়তো ডেথ রেট কম। কিন্তু ছোঁয়াচে বেশি। যাদের কোমর্বিডিটিস আছে, তাদের সবাইকে বলব মাস্কটা ইউজ করতে। কোভিডে যেভাবে আমরা যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করেছি, তা মনে রাখার মতো। যাতে এটা না ছড়ায়, সেটা দেখতে হবে। প্রিকশন নিতে হবে। '
করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ
ভারতে করোনার নতুন রূপ প্রথম ধরা পড়ে কেরলের এক জন মানুষের থেকে নমুনা পরীক্ষায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রমের মতোই এই উপপ্রজাতির টার্গেটও হচ্ছে শ্বাসনালীর উপরের অংশ বা Upper respiratory tract। আর তার ফলে যে উপসর্গগুলি মূলত দেখা যাচ্ছে , তা হল -
- কাশি
- নাক দিয়ে জল পড়া। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগেরবার কোভিডে এই উপসর্গ ছিল না
- জ্বর
- এছাড়া কারও কারও ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হচ্ছে।
ডেল্টার সময় যেমন ভাইরাস সরাসরি ফুসফুসে হানা দিয়েছিল, ফুসফুস সাদা করে দিচ্ছিল, এটার ক্ষেত্রে এখনও তেমনটা হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে চিকিৎসকরা সতর্ক থাকতে বলছেন, যদি গুরুতর কো-মর্বিডিটি থাকে।
আরও পড়ুন :-
বারে বারে কোভিডের ফিরে আসা, কতদিন থাকবে এই আতঙ্ক? গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকার