Samik Bhattacharya:বিজেপিতে কোনও ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়নি? এবিপি আনন্দকে শমীক ভট্টাচার্য জানালেন...
Ghantakhanek Sange Suman: রাজনীতির অঙ্গনে কার সঙ্গে কী সম্পর্ক? বিরোধীরা কী বলছে? এই সব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই এবিপি আনন্দে এক্সক্লুসিভ শমীক ভট্টাচার্য।

কলকাতা: বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। ফের একবার বঙ্গ দখলের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি।আর সেই ভোট পরিচালনার গুরুদায়িত্ব শমীক ভট্টাচার্যের ওপরই দিলেন নরেন্দ্র মোদি- অমিত শাহরা। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপির ব্যাটন রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের হাতে তুলে দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়। আর নতুন রাজ্য সভাপতি হয়েই তৃণমূলকে হারাতে মহাজোটের 'পরোক্ষ' ডাক দিয়েছেন তিনি, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপির অতীত সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দিয়ে পাল্টা খোঁচা দিয়েছে কংগ্রেস, সিপিএম।
তবে এহেন রাজনীতির অঙ্গনে কার সঙ্গে কী সম্পর্ক? বিরোধীরা কী বলছে? এই সব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই এবিপি আনন্দে এক্সক্লুসিভ শমীক ভট্টাচার্য। বিজেপির রাজ্য সভাপতি হয়ে এই প্রথম। এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার এবিপি আনন্দ'র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-কে।
প্রশ্ন- ব্যক্তিগত সম্পর্ক তোমার সঙ্গে বহু নেতার ভাল, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এতটাই ভাল যে সম্ভবত ২০১৬ সালে রটে গেল যে শমীক ভট্টাচার্য তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে তোমার সুসম্পর্কের কারণেই হয়ত? বিজেপিতে কোনও ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়নি?
শমীক ভট্টাচার্য- কোনওদিন সমস্যা হয়নি। বিজেপির যারা কর্মী, যারা বিজেপিকে জানেন, চেনেন, যাঁদের বিজেপি চেনে, তাঁদের এই বিশ্বাস আছে, শমীক ভট্টাচার্য আর যাই করুক দলবদল করবে না। সুতরাং তাঁদের মনে প্রশ্ন থাকার কথা নয়। কিছু মানুষ তো আলাপ আলোচনা করবেই। আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পারিবারিক মানে তাঁর যে ভাইয়েরা আছে, একটা বিরাট অংশ জনসঙ্ঘের সময় থেকে বিজেপি করে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যিনি মাসি সবিতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে জনবার্তা পত্রিকা প্রচার করতেন সিপিএম তাঁর মাথায় গরম নোংরা জল ঢেলে দিয়েছিল। তারপরও সেখান থেকে সরেননি। আমার সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক সম্পর্কও আছে। ঘনিষ্টতাও আছে, এটা তো লুকানোর কিছু নেই। আমার সঙ্গে কারও কোনও ব্যক্তিগত সমস্যা নেই। আমার সঙ্গে সকলের সম্পর্ক ভাল। মুখ্যমন্ত্রীও আমার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছেন।
প্রশ্ন- রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর ফোন এসেছিল?
শমীক ভট্টাচার্য- কার ফোন এসেছিল, কার ফোন আসেনি সেই নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। কারণ এখন মোটামুটি সবাই ইলেকশন মোডে চলে গিয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ফোন আসেনি, কিন্তু.. (থামিয়ে)
প্রশ্ন- তাহলে এই নীরবতাকে সম্মতির লক্ষণ ধরে নেব কি?
শমীক ভট্টাচার্য- নাহ। মুখ্যমন্ত্রীর কোনও ফোন আসেনি। সত্যিটা সত্যিই। মুখ্যমন্ত্রীর ফোন আসেনি, তবে ফোন এসেছে। অনেক ফোন এসেছে। যে ফোনগুলো এসেছে এই মুহূর্তে নামগুলো বলব না। তৃণমূলের অনেক মন্ত্রী-নেতারা আমাকে ফোন করেছেন। সিপিএমের অনেকে আমাকে ফোন করেছেন।
এবিপি আনন্দ'র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, নিউজ অ্য়ান্ড প্রোগ্রামিং সুমন দে-কে দেওয়া শমীক ভট্টাচার্যের পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকারটি দেখতে ক্লিক করুন-























