Debangshu Bhattacharya On Gita path: 'ধর্ষণে অভিযুক্তরাই আইডল বিজেপির', হিন্দুত্ববাদ ইস্যুতে পাল্টা খোঁচা দেবাংশুর
Debangshu Bhattacharya Reaction: তৃণমূল কংগ্রেস ধর্মীয় বিভাজন করছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। এবার পাল্টা বিজেপিকে হিন্দুত্ববাদ ইস্যুতে খোঁচা দিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।

কলকাতা: সনাতন সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি থেকে বাংলার হিন্দুদের এক হওয়ার ডাক দিয়েছে বিজেপি। দলের একাধিক নেতা, মন্ত্রীরা এ রাজ্যের বাঙালি হিন্দুদের জেগে উঠতে বলেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস ধর্মীয় বিভাজন করছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। এবার পাল্টা বিজেপিকে হিন্দুত্ববাদ ইস্যুতে খোঁচা দিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। গীতাপাঠের মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন কার্তিক মহারাজ। যাঁকে ধর্ষণে অভিযুক্ত বলে জানিয়েছেন দেবাংশু।
এবিপি আনন্দে একান্ত সাক্ষাৎকারে দেবাংশু বলেন, ''কেউ যদি নিজেদের মনে করেন যে তাঁরা হিন্দুদের সার্টিফিকেট দেওয়ার লোক, তাঁরা ভুল করছে। হিন্দুদের আস্থা এতটা দুর্বল নয় যে মঞ্চে একজন ধর্ষক বসে থাকবেন, আর তিনি শুধুমাত্র গেরুয়া বসন পড়ে আছেন বলে তাঁকে মাথা নত করে সবাই প্রণাম করবেন। আমাদের হিন্দুধর্মের প্রত্যেকের ঘরে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, বিবেকানন্দ প্রত্যেকের ছবি রয়েছে। কিন্তু বিজেপির কাছে আইডল কার্তিক মহারাজের মত ধর্ষণে অভিযুক্ত লোক। আশারাম বাপুর মতো লোক। যাঁদের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদিকে স্টেজে উঠে নামতে দেখা গিয়েছে। ভোটের আগে তাঁদের প্যারোলে বারবার মুক্তি দেওয়া হয় অভিযুক্ত হওয়ার পরেও।''
দেবাংশু আরও বলেন, ''বিজেপি সব ধর্ষকদের আদর্শ বানিয়ে আমাদের হিন্দুধর্মের আসল গরিমা নষ্ট করেছে।''
কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?
গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে এসে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার জানান, ''এই লক্ষ্য কণ্ঠে গীতাপাঠ সব হিন্দুদের একত্রিত হওয়ার একটি অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এখন বাংলার যা পরিস্থিতি তাতে হিন্দুরাই কোনঠাসা। হিন্দু ধর্ম, সংস্কৃতি যদি রক্ষা করতে হয়, যার জন্য পশ্চিমবঙ্গ তৈরি হয়েছিল। হিন্দুদের জন্যই তো পশ্চিমবঙ্গ তৈরি হয়েছিল, নইলে তো এর দরকার ছিল না। পুরোটাই পূর্ব পাকিস্তানে চলে যেত।''
সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ''আজকে কিছু লোক বলছে ৯০ আসল তাঁদের। থাকতে সবাই পারে এখানে। কিন্তু ভাগ তো হয়েছিল হিন্দুদের জন্য। কিন্তু হিন্দুরাই যদি এখানে পরবসী হয়ে যায়, তবে তো চিন্তার বিষয়।'' আগামী বছর নির্বাচন। তার আগে এই গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজনে কি কোথাও রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে? সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, ''এই কর্মসূচির সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পুরোটাই ভিত্তিহীন কথা।''
উল্লেখ্য, সকাল ৯ থেকে দুপুর ২ পর্যন্ত ব্রিগেডে গীতাপাঠ হবে। ব্রিগেডে গীতাপাঠে যোগ দিয়েছেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারীকে দেখা গেলেও জাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বাংলাদেশ ও নেপাল থেকেও গীতাপাঠে যোগদান, দাবি উদ্যোক্তাদের।






















