Uttar Dinajpur: ইটাহারে তৃণমূল কর্মীর পর রায়গঞ্জে সরকারি কর্মী, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে 'জোড়া খুন' উত্তর দিনাজপুরে
Government Employee Death:২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে উত্তর দিনাজপুরে জোড়া খুন। ইটাহারে তৃণমূল কর্মীর পর এবার রায়গঞ্জ শহরে খুন হলেন সরকারি কর্মী। মৃতের নাম দীনেশ সাহা।
সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinjapur Crime) জোড়া খুন। ইটাহারে তৃণমূল কর্মীর পর এবার রায়গঞ্জ শহরে খুন হলেন সরকারি কর্মী (Government Employee Murdered At Raiganj)। মৃতের নাম দীনেশ সাহা। বয়স ৫৩ বছর। দীনেশ কাজ করতেন কৃষি দফতরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে,গত কাল রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মুদিখানার জিনিস কিনতে বেরিয়েছিলেন তিনি। ফেরার পথে, ভাড়া বাড়ি থেকে মাত্র ৩০ ফুট দূরে তাঁকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা।
যা জানা গেল...
পুলিশ সূত্রে খবর, হামলার সময় মৃতের স্ত্রী ও মেয়ে অন্যত্র ছিলেন। অভিযোগ, রাস্তায় দাঁড় করিয়ে সিড কর্পোরেশনের কর্মী, দীনেশকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় বাইক আরোহী দুই আততায়ী। বুকে ও পিঠে ৩টি গুলি লাগে। কিন্তু কেন খুন হতে হল তাঁকে? এখনও পর্যন্ত খুনের কারণ ঘিরে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। আততায়ীদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে শ্যালিকার বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে, ইটাহারে খুন হন তৃণমূল কর্মী ও পঞ্চায়েত সদস্যের জামাই তন্ময় সরকার। ওই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
তৃণমূল কর্মী খুন...
পঞ্চায়েত ভোট মেটার পরও রাজ্যে রাজনৈতিক কর্মী খুনের অভিযোগ যে কমেনি, সেটা গত ক'মাসে বার বার স্পষ্ট হয়েছে। গত কাল, বুধবার কার্যত সে রকমই এক অভিযোগ শোনা যায় ইটাহারে। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, রাস্তার উপরই মৃত তৃণমূল কর্মীর মোটরবাইক আটকায় দুষ্কৃতীরা, তার পর তাঁর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তন্ময় সরকার নামে ওই ব্যক্তিকে প্রথমে ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে, সেখান থেকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার গভীর রাতেই মারা যান তিনি। পতিরাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ও মৃতের শ্বশুর দেবকুমার সরকার বলেন, 'আমাদের বিয়েবাড়িতে এসেছিল জামাই। রাতে যখন ফিরছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডির বাড়িতে ফিরছিলেন, সেই সময় রাস্তায় খবর আসে একটা গন্ডগোল হচ্ছে। সেখানে গিয়ে দেখি জামাই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আমাদের ধারণা, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এটা করেছে। কারণ আমি যখন ভোটে দাঁড়াই, তখন জামাই এসে প্রচারে অংশ নিয়েছিল। সে কারণে খুন।' যদিও খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।
সেই ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টাও পেরোল না। ফের রক্তাক্ত উত্তর দিনাজপুর।
আরও পড়ুন:আমের শহরে কয়েকশো কেজি কমলা চাষ করে চমক কৃষকের, মালদার কমলা লেবু কবে থেকে মিলবে বাজারে?