Malda: আমের শহরে কয়েকশো কেজি কমলা চাষ করে চমক কৃষকের, মালদার কমলা লেবু কবে থেকে মিলবে বাজারে?
Orange: অনেকেই বলছেন কানপুরের কমলা লেবুর থেকে এটি তুলনামূলক সুস্বাদু। এর আগে ছাদবাগানে মাটির টবে কমলা ফলিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু জমিতে ফলিয়ে মিষ্টি কমলা পাওয়ার নজির ছিল না এতদিন।
সনৎ ঝাঁ, মালদা: তার বিশ্বজোড়া খ্যাতি আমের জন্যই। আড়াই লক্ষ টাকা কেজি আমের হদিশও মিলেছিল এখানেই। এবার সেই মালদাতেই (Malda) প্রথম কমলালেবু চাষ করে নজির তৈরি করলেন এক কৃষক দীপক রাজবংশী। যদিও বাণিজ্যিকভাবে এখনই বিক্রি শুরু করেননি তিনি। জানিয়েছেন ভবিষ্যতে ইচ্ছে রয়েছে। এখনও তিনি বিভিন্নভাবে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর বাগানে এই মরশুমে প্রায় দেড় কুইন্টালের ওপর কমলা লেবু ফলেছে। আমের শহরে কমলা লেবু চাষ করে অন্যান্যদের কার্যত পথ দেখিয়েছেন মালদার বাসিন্দা দীপক রাজবংশী।
তাঁর হাতে ফলানো কমলা লেবু স্বাদ বেশ মিষ্টি। অনেকেই বলছেন কানপুরের কমলা লেবুর থেকে এটি তুলনামূলক সুস্বাদু। এর আগে ছাদবাগানে মাটির টবে কমলা ফলিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু জমিতে ফলিয়ে মিষ্টি কমলা পাওয়ার নজির ছিল না এতদিন। যদিও আকারে দার্জিলিং কমলার থেকে সামান্য ছোট এগুলি।
তবে দীপকবাবু তুলনামূলক বড় আকারের কমলা ফলানোর জন্য গবেষণা চালাচ্ছেন। এই চাষেও মন ভরছে না তাঁর। দীপকবাবু জানিয়েছেন, আপাতত বিক্রি তিনি করবেন না। আকারে বাড়িয়ে তবেই বিক্রির ব্যাপারে ভাববেন বলে জানিয়েছেন।
পুরনো মালদার গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা দীপক। নদিয়ার রানাঘাটের এক নার্সারি থেকে ভুটানি প্রজাতির চারা কিনে নিয়ে এসেছিলেন। এরপর বাড়ির কাছে নিজের জমিতে তিনি বছর চারেক আগে ১০টি কমলার চারা রোপন করেছিলেন। পরে একটি চারা মারও যায়। কিন্তু বেশ ফলন দিয়েছে বাকি গাছগুলো। এখন এক একটি গাছের উচ্চতা প্রায় ৭ ফুট। গত বছর থেকে ফল দেওয়া শুরু হয়। গত এপ্রিলের শুরুর দিকে ফুল আসতে শুরু করছিল শুরু হয়ে থাকে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ফল পাকতে শুরু করে। আপাতত এক একটি গাছ থেকে প্রায় ২০-২৫ কেজি করে কমলা লেবু মিলছে।
কী এমন সার, কীটনাশক ব্যবহার করে জমিতে এমন বিপুল ফলন করালেন দীপক রাজবংশী? তিনি জানিয়েছেন, সার হিসেবে গোবর সার, ভার্মিকম্পোস্ট, নিম খইলের মিশ্রণ ব্যবহার করেছিলে। কীটনাশক হিসেবে দিয়েছে নিজের হাতে তৈরি ভেষজ কীটনাশক কোনও রকম রাসায়নিক কীটনাশক কিংবা সার এখনও ব্যবহার করেননি। আর তাতেই এমন ফল।
জেলা ব্যবসায়ী নেতা উজ্জ্বল সাহা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘খুব ভাল উদ্যোগ। জেলায় নতুন ফল ফলানো সত্যিই আনন্দের। জেলা উদ্যান পালন দফতর পাশে রয়েছে।’ অন্যদিকে বিপুল ফলের মালিক দীপক রাজবংশী জানান, ‘স্বাদে মিষ্টি এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু আকার নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। গবেষণা চালানো হচ্ছে আকার বড় করার। এ ব্যাপারে কোনও পরামর্শ পেলে ভালই হয়। আকার বড় করেই বিক্রির ব্যাপারে ভাবা হবে।’ এই বিষয়ে পুরনো মালদার সহ কৃষি অধিকর্তা সমোজিৎ মজুমদার জানান, সত্যি খুব ভাল উদ্যোগ এটি। আমরা ওই চাষির পাশে রয়েছি।