Governor : রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে রাজ্যপাল, একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ আচার্যের
Bratya Basu : শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ট্যুইটে লিখেছেন, বর্তমানে উপাচার্য নিয়োগের যে নিয়ম আছে, তার সম্পূর্ণ পরিপন্থী ও বেআইনি। এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে বিভাগীয়ভাবে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : রাজ্য-রাজ্যপালের সরাসরি সংঘাত এবার এসে পড়ল সর্বসমক্ষে। সংঘাত বাড়িয়ে রাজ্যের একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ আচার্যের। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হওয়ার পাশাপাশি রাজ্যপাল রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যও। সেই সুবাদেই যাদবপুর, কল্যাণী, কাজি নজরুল, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল, সূত্রের খবর। বিদায়ী উপাচার্যদের মেয়াদবৃদ্ধি নয়, অধ্য়াপকদের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ। আর যার পরেই এই নিযুক্তি দফতরের সঙ্গে আলোচনা না করেই, ট্যুইট শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Education Minister Bratya Basu)। একধাপ এগিয়ে ট্যুইট ব্রাত্য বসু লিখেছেন, নবনিযুক্ত উপাচার্যদের উচ্চশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে অনুরোধ, তাঁরা যেন এই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন।
যাদবপুর, কাজি নজরুল, কল্যাণী, বর্ধমানের মতো একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। যার পরই বিদায়ী উপাচার্যদের মেয়াদবৃদ্ধি না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্য়াপকদের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governer CV Ananda Bose)। পাশাপাশি শূন্য আসন পূরণ করতে নিয়োগ চলবে, খবর রাজভবন সূত্রে। আর রাজভবনের যে নিয়োগ নির্দেশের পরই রাজ্য সরকারের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বতী উপাচার্য হিসেবে যাঁরা নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদেরকে নিয়োগ প্রত্যাখ্যানের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ট্যুইটে লিখেছেন, বর্তমানে উপাচার্য নিয়োগের যে নিয়ম আছে, তার সম্পূর্ণ পরিপন্থী ও বেআইনি। এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে বিভাগীয়ভাবে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন- দলবদল করতে কী কী টোপ দিয়েছিল তৃণমূল? এবিপি আনন্দে এক্সক্লুসিভ নৌশাদ
#HED pic.twitter.com/N4AqOg3V5m
— Bratya Basu (@basu_bratya) June 1, 2023
বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহ চলছে। কিছুদিন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে সরাসরি রাজ্যপালের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minsieter Mamata Banerjee)। বর্তমানে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কমিশনারহীন। নবান্নর পাঠানো জোড়া নামে এখনও সবুজ সঙ্কেত দেয়নি রাজভবন। যে প্রসঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছিলেন, 'সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।' যার পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, 'আগের কোনও রাজ্যপালের সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আশা রাখি দ্রুত শুভবুদ্ধির উদয় হবে।' সেই সংঘাতের রেশ জারি থাকার মাঝেই এবার রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত সামনে চলে এল।
আরও পড়ুন: Appetite: খাবার দেখলেই অনীহা? একেবারেই নেই খিদে? প্রতিদিন সহজ কিছু নিয়ম মেনে চললে সমাধান হবে সমস্যার