Appetite: খাবার দেখলেই অনীহা? একেবারেই নেই খিদে? প্রতিদিন সহজ কিছু নিয়ম মেনে চললে সমাধান হবে সমস্যার
Food Habits: কোনওভাবেই ঠিকমতো খিদে হচ্ছে না আপনার। এক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই বলা ভাল প্রতিদিনের জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চললে উপকার পাবেন আপনি।
Appetite: অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় খাওয়াদাওয়া (Food Habits) নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হল ঠিকমতো খিদে (Appetite) পাচ্ছে না। খাবার সামনে দেখলেই বিরক্তি লাগছে। খেতে হবে মনে পড়লেই অনীহা জন্মাচ্ছে। মুখের সামনে সুস্বাদু, মুখরোচক খাবার রাখলেও লাভ হচ্ছে না। কোনওভাবেই ঠিকমতো খিদে হচ্ছে না আপনার। এক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই বলা ভাল প্রতিদিনের জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চললে উপকার পাবেন আপনি। অর্থাৎ ঠিকমতো খিদে পাবে, খাবার দেখলে অনীহা হবে না, বরং খেতে ইচ্ছে করবেন।
কী কী করা প্রয়োজন, রইল কিছু সহজ টিপস
পরিমাণে অল্প খান এবং বারে বারে খাবার খান। অর্থাৎ একবারে অনেকটা খাবার না খেয়ে বরং অল্প অল্প করে সারাদিনে অনেকবার খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এর ফলে আপনার খিদে বাড়বে। আপনি যতবার খাবার খাবেন, ততবারই আপনার শরীরে খিদের অনুভূতি তৈরি করা হরমোন নির্গত হবে। এর ফলে নির্দিষ্ট কিছু সময়ান্তরে আপই অনুভব করবেন যে আপনার খিদে পাচ্ছে, খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। সারাদিনে ৬ বার খাবার খাবেন, এভাবে ভাব করে নিন। এইসব সময়ের খাবারে মাঝে মাঝে রাখুন ফল, বিভিন্ন বাদাম, পুষ্টিকর দানাশস্য, ডিম। এছাড়াও দিনের মূল তিনটে খাবার অর্থাৎ জলখাবার বা ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ বা দুপুরের খাবার এবং ডিনার বা রাতের খাবার তো খেতেই হবে এবং সেটাও সঠিক সময়ে।
অনেকসময় কাজের চাপে বা অন্যান্য চাপে আমরা খাবার খেতে ভুলে যায়। এর ফলে দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকা হয়ে যায়। হয়তো সকালে জলখাবার না খেয়েই আপনি কলেজ বা অফিসে চলে গেলেন। তারপর দুপুরের খাবার খেতেও অনেক দেরি হয় গেল। এই দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাজের চাপ থাকলে প্রয়োজনে রিমাইন্ডার সেট করে রাখুন। আর ব্যাগে রাখুন শুকনো কিছু খাবার যা সহজেই খেয়ে নেওয়া যাবে। এইসব ক্ষেত্রে বাদাম, ফল এই খাবারগুলি খুবই কাজে লাগে।
যদি দেখেন দিনের ভারী খাবারগুলি অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট বা লাঞ্চে সেভাবে খাবার খাওয়া হয়নি, তাহলে সময় সুযোগ করে স্বাস্থ্যকর কোনও পানীয় খেতে পারেন। সকালে দিকে হলে ফলের রস খান। তবে খালি পেটে একেবারেই ফলের রস বা ফল কিছুই খাবেন না। বিশেষ করে যাঁদের অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে তাঁরা এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। আর সঠিক ভাবে দুপুরের খাবার খাওয়া না হয়ে থাকলে ছাঁস, লস্যি জাতীয় জিনিস খেতে পারেন যা অনেকক্ষণ আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে।
অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার, ভাজাভুজি বা ঝাল খাবার না খাওয়াই ভাল। এইসব খাবার খেলে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা হতে পারে। তার ফলে আপনার খিদে কমে যেতে পারে। তাই এইসব খাবার এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও নিয়মিত শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। এর ফলেও আপনার খিদে বাড়বে। কার শরীরচর্চার ফলে আপনার মেটাবলিজম রেট বাড়বে এবং একই সঙ্গে খাবার হজম করার শক্তিও বাড়বে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন- ওজন কমাতে কীভাবে সাহায্য করে থালার মাপ ! অবাক করবে পুষ্টিবিদের এই ভিডিও
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )