CV Ananda Bose: বাংলা শিখবেন রাজ্যপাল, 'হাতেখড়ি' সরস্বতী পুজোয়
Saraswati Puja: সূত্রের খবর, খুদে পড়ুয়ার হাত ধরেই রাজভবনেই সিভি আনন্দ বোসের 'হাতেখড়ি'।
কলকাতা: কেরলের বাসিন্দা। গুরুত্বপূর্ণ পদে আমলার দায়িত্ব সামলেছেন বহুদিন। এখন বাংলার রাজ্যপাল পদে আসীন। তাই বাংলা শেখায় মন দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই কাজ শুরুর জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন সরস্বতী পুজো। ওই দিনই 'হাতেখড়ি' দেবেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, সরস্বতী পুজোতেই সরকারিভাবে বাংলা শেখা শুরু করবেন রাজ্যপাল। খুদে পড়ুয়ার হাত ধরেই রাজভবনেই সিভি আনন্দ বোসের 'হাতেখড়ি'।
আমন্ত্রিত একাধিক:
সেদিন আমন্ত্রিতদের তালিকায় বিচারপতি, মন্ত্রী, সাংসদ থেকে বিশিষ্টরা।
সরস্বতী পুজো বাঙালিদের অত্যন্ত কাছের উৎসব। বিশেষ করে পড়ুয়াদের। সাধারণত এই দিনেই, প্রথা অনুযায়ী শিশুদের হাতেখড়ি দেওয়ান বাবা-মা। কোনও শিশুর হাতে চক-স্লেট তুলে দেওয়া হয় ভাষাশিক্ষা শুরুর জন্য। বিদ্যার দেবী হিসেবে পূজিতা হন দেবী সরস্বতী। সেই কারণেই এমন প্রথা চলে আসছে।
সরস্বতী পুজোকে বসন্ত পঞ্চমীও বলা হয়। মূলত মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে পালিত হয় এই পুজো। বসন্ত পঞ্চমী বসন্তের সূচনা করে। সনাতন ধর্মে মা সরস্বতীর আরাধনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, কারণ তিনি জ্ঞানের দেবী এবং জ্ঞানের দেবীকে বলা হয়েছে জগতের সব কিছুর থেকে শ্রেষ্ঠ। এই ভিত্তিতে দেবী সরস্বতী সবার থেকে শ্রেষ্ঠ। মনে করা হয় যে, বসন্ত পঞ্চমীতে দেবী সরস্বতীর পুজো করলে মা লক্ষ্মী ও দেবী কালীরও আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
বসন্ত পঞ্চমী তিথি-
এবার বসন্ত পঞ্চমী অর্থাৎ মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথি শুরু হচ্ছে ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২.৩৪ মিনিটে। এটি পরের দিন ২৬ জানুয়ারি সকাল ১০.২৮ টায় শেষ হবে। উদয়তিথি অনুসারে, বসন্ত পঞ্চমী ২৬ জানুয়ারি পুজো হবে।
সরস্বতী পুজোর মুহূর্ত-
এবছর ২৬ জানুয়ারি, ১১ মাঘ বৃহস্পতিবার সরস্বতী পুজো। ২৬ জানুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমীতে সরস্বতী পুজোর শুভ সময় সকাল ০৭:১২ থেকে বিকাল ১২:৩৪ পর্যন্ত। এই দিনে সরস্বতী পুজোর জন্য ৫ ঘন্টারও বেশি সময় পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, সরস্বতী পুজোর এই বিশেষ দিনে হলুদ রঙের পোশাক পরার অন্যতম কারণ হিসেবে জানা যায়, হলুদ রং মানুষের মনে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। নেতিবাচক সমস্ত শক্তির অবসান ঘটিয়ে ইতিবাচকভাবে যে কোনও কিছুর শুরুর জন্য হলুদ রঙের ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, প্রকৃতিতে যখন হলুদ রঙে সেজে ওঠে, তখন তা আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। এই সমস্ত কারণেই এই দিনে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী থেকে পড়ুয়ারা এমনকী বড়রাও হলুদ রঙের পোশাক পরেন।
আরও পড়ুন: সাধারণের ডিম-ভাতেও কোপ! ফের বাড়ল দাম, পকেটে টান মধ্যবিত্তের