(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Governor: 'আমি পর্যটক, লোকেদের অবস্থা দেখতে এসেছি' খোঁচা রাজ্যপালের
West Bengal News: এদিন উত্তরবঙ্গের শ্বেতিঝোরার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে।
কলকাতা: উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। রাজ্যপাল পর্যটক খোঁচার জবাব দিলেন। বললেন, 'আমি পর্যটক, মানুষের অবস্থা দেখতে এসেছি'।
উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি: ফুঁসছে তিস্তা, নদীর জল বইছে রাস্তার ওপর দিয়। অবিরাম কাদার স্রোত। চঞ্চলা তিস্তার এমন বিধ্বংসী রূপ সাম্প্রতিককালে দেখেনি পাহাড়। সিকিমের চুংথামে মেঘ ভাঙা বিপর্যয়ের জেরে বিধ্বস্ত কালিম্পং সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। আচমকা বিদসীমার ওপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে তিস্তা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিস্তা পারের বিভিন্ন জনবসতি। কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকায় তিস্তা বাজার থেকে কালিঝোড়া, সেবক, গজলডোবাতে রাতারাতি ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে জলস্তর। ভয়াবহ দুর্যোগে বিপর্যস্ত কালিম্পং। জলের তোড়ে ধসে গেছে রাস্তা। বিপর্যস্ত তিস্তা বাজার, রাম্পু সহ বিভিন্ন এলাকা। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং দার্জিলিং যাওয়ার বিকল্প রাস্তার ওপর দিয়েই বইছে জল। পুরোপুরি বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। কালিম্পঙের মেল্লিতে রাস্তার ওপর জমে গিয়েছে কয়েক ইঞ্চি পুরু কাদার স্তর। এই পরিস্থিতিতে এদিন উত্তরবঙ্গে প্লাবিত এলাকায় গিয়েছেন রাজ্যপাল।
পর্যটক খোঁচার জবাব: এদিন উত্তরবঙ্গের (North Bengal) শ্বেতিঝোরার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। এর আগে মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, 'উত্তর দেওয়ার নেই বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পালিয়ে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন রাজ্যপাল।' আর সেই খোঁচার জবাব দিলেন সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল বলেন, 'আমি পর্যটক, লোকেদের অবস্থা দেখতে এসেছি। আমার জুনিয়র অ্যাপয়েন্টিদের মধ্যে কেউ যদি আমার সঙ্গে পর্যটক হিসেবেও থাকতেন! রাজ্যের মানুষের অবস্থা দেখে থাকতে না পেরে দিল্লি থেকে এসেছি।'
জলপাইগুড়িতে তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। তিস্তা সেতুর ওপর কাউকে না দাঁড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর। সংরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা দফায় দফায় জল ছাড়া হচ্ছে তিস্তা ব্যারাজ থেকে। তিস্তা সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এদিকে, কোচবিহারের মেঘলিগঞ্জে তিস্তার চর এলাকার বাসিন্দাদের সংরক্ষিত এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ব্লক প্রশাসনের তরফে। স্পিড বোটে করে উদ্ধারকাজে পাঠানো হয়েছে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের। উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন বিএসএফ জওয়ানরাও। এই পরিস্থিতির মধ্যেই, গজলডোবায় তিস্তা ব্যারাজ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩ অজ্ঞাতপরিচয় মৃতদেহ। তিস্তায় ভেসে আসে ২ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলার দেহ।
আরও পড়ুন: Weather Update: দক্ষিণের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি, উত্তরে জারি লাল সতর্কতা