GST News: 'ওষুধ ছাড়া বাঁচব কী করে, সরকারের এই ব্যবস্থা আমাদের জন্য খুব ভাল', দাম কমানোয় স্বস্তি পেতে চলেছে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত
GST Infrastructure: ঘরে ঘরে রোগ-জ্বালা। চিকিৎসার খরচ জোগাতে নাভিশ্বাস অবস্থা। দেবীপক্ষে সেই অস্বস্তি কাটতে চলেছে অনেকটাই।

সন্দীপ সরকার ও সৌমিত্র রায়, কলকাতা : প্রতিপদ থেকেই কার্যকরী হচ্ছে নয়া হারে জিএসটি। নতুন হারে জিএসটি লাগু হওয়ায় দাম কমেছে জীবনদায়ী ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের। ওষুধের দাম কমানোয় অনেকটাই সুরাহা হবে মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্তের।
ঘরে ঘরে রোগ-জ্বালা। চিকিৎসার খরচ জোগাতে নাভিশ্বাস অবস্থা। দেবীপক্ষে সেই অস্বস্তি কাটতে চলেছে অনেকটাই। GST কাঠামোর রদবদলের জেরে প্রতিপদ থেকেই থেকেই ১৭৫টি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি সুলভ হচ্ছে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম।
৫ থেকে ১২ শতাংশ করের আওতায় থাকা ক্যানসারের ওষুধ ও কিছু বিরল রোগের ওষুধে এখন থেকে আর কোনও কর লাগবে না। ১২ থেকে ১৮ শতাংশ স্ল্যাবে থাকা ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামে কর লাগবে ৫ শতাংশ। এর জেরে এক ধাক্কায় জীবনদায়ী ওষুধের দাম অনেকটাই কমতে চলেছে।
এ প্রসঙ্গে রিক্তনু দাস নামে এক ক্রেতা বলেন, "ওষুধ ছাড়া মানুষ অচল। স্বাভাবিকভাবে ওষুধে এই GST টা কমতে তো সবারই সুবিধা।" অপর এক ক্রেতা বলেন, "প্রচুর টাকার ওষুধ কিনতে হয়। ৩-৪ হাজার টাকার ওষুধ আমার বাড়িতে যায়। সেটা যদি কমে খুব ভাল হয়। সুরাহা হয়।" আরও এক ক্রেতার কথায়, "অল্প খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবন, কিন্তু ওষুধ ছাড়া বাঁচব কী করে ! সরকার এই ব্যবস্থা নিয়েছে এটা আমাদের জন্য খুব ভাল।"
অন্যদিকে, লেকটাউনের এক ওষুধের দোকানের মালিক শ্যামল বণিক বলেন, "অনেক GST উঠে গেছে কোনওটায়...ট্যাক্সই লাগবে না। এখন কোম্পানিগুলো যদি দাম বাড়ায়...দাম বাড়ানোর উপর তো ট্যাক্স হয়...এমআরপির উপর তো ট্যাক্সটা হয়, ট্যাক্সটা যদি কমে যায়...কিছুটা কমবে। কোম্পানি যে এমআরপিটা করছে সেখানে আরও কমানো উচিত।"
GST কমছে ঠিকই, তবে ওষুধের দামে যেন তাঁর দ্রুত প্রতিফলন হয়। চাইছেন চিকিৎসকদের অনেকেই। চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, "এই সুবিধাটা যেন সরকার যেভাবে বলছে, ফার্মা প্রাইসিং সংস্থা যেভাবে বলে দিয়েছে এখন থেকেই যেন মানুষের কাছে সুবিধাটা পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে। নানা অজুহাতে এটাকে যেন আটকে রাখার নানান ফন্দি ফিকির হতে পারে যে আমরা এতো দামে কিনেছি, এই দামে বিক্রি করব কী করে? কিন্তু যেটা মাথায় রাখা দরকার কোনও ওষুধের ব্য়বসাদার কিন্তু ৩ মাসের আগে কোনও পেমেন্ট করে না। সুতরাং সে পেমেন্ট করবে কিন্তু দু তিন মাস পরেই। সুতরাং ওগুলো অজুহাত মাত্র।"
এই পরিস্থিতিতে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা স্টকিস্ট ডিস্ট্রিবিউটর এবং খুচরা বিক্রেতাদের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করল জাতীয় ফার্মাসিউটিক্যালস প্রাইসিং অথরিটি বা NPPA। সোমবার থেকে পুরনো স্টকের অজুহাতে ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম বিক্রি করা যাবে না। পুরনো ওষুধে নতুন GST অনুযায়ী ক্রেতাদের থেকে দাম নিতে হবে। ক্রেতাদের সুবিধার্থে নতুন দামের তালিকা টাঙিয়ে রাখতে হবে দোকানে।
এ প্রসঙ্গে মেট্রো ফার্মার কর্ণধার সোমনাথ ঘোষ বলেন, "যে গাইডলাইন দিয়েছে, সেটা ২২ সেপ্টেম্বর থেকে আমাদের ওষুধের দাম কমাতে হবে। এমআরপি যে ছিল, যেগুলো ১২ শতাংশ থেকে ৫ হয়েছে বা ১৮ থেকে ৫ হয়েছে...তার প্রত্যেকটির এমআরপি আমাদের বিলের মধ্যে শো করাতে হবে। কম দামে এমআরপি বিলের মধ্যে শো করাতে হবে।"
বেঙ্গল কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পৃথ্বী বসু বলেন, "কম্পিউটার আছে যাদের চেঞ্জিং হচ্ছে, যাদের সফ্টওয়্যার নেই ...তাদের যাতে অসুবিধা না হয় আমরা একটা স্টিকার দিয়ে দিচ্ছি...যে এমআরপিটা কত শতাংশ কমছে...এই স্ট্যাটাসে....সেটা আমরা প্রত্যেক দোকানে টাঙিয়ে রাখি। ম্যানুয়ালি যাতে তারা হিসাব করে বিক্রি করে, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
ইতিমধ্য়েই বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা নয়া GST-র হারে দামের তালিকা তৈরি করে ফেলেছে। এদিকে ওষুধের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিমাও এবার থেকে পুরোপুরি GST-মুক্ত।






















