Netajinagar Body Recovery:যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার নেতাজিনগরে, সিএএ-আতঙ্কে আত্মঘাতী? অভিযোগ পরিবারের
CAA Controversy Death:নেতাজিনগরে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, সিএএ-আতঙ্কে আত্মহত্যার অভিযোগ। মৃতের নাম দেবাশিস সেনগুপ্ত।
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: নেতাজিনগরে (Netaji Nagar Hanging Body) যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, সিএএ-আতঙ্কে (CAA Controversy) আত্মহত্যার অভিযোগ। মৃতের নাম দেবাশিস সেনগুপ্ত। মামাবাড়ি থেকে দেবাশিসের দেহ উদ্ধার হয় বলে খবর। পরিবারের দাবি, নাগরিকত্ব চলে যাওয়ার আতঙ্কে ভুগছিলেন যুবক। বাবা-মায়ের নথি না থাকায় আত্মঘাতী, মনে করছে পরিবার।
কী জানা গেল?
প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, দেবাশিসের মা-বাবা এদেশে শরণার্থী হয়ে এসেছিলেন। সেই জন্য তাঁর ধারণা হয়েছিল, সিএএ-এনআরসি লাগু হলে তাঁর নাগরিকত্ব প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে বা তাঁর জেল হেফাজত হতে পারে। দেবাশিসের মাসির বক্তব্য, 'সব সময় আমাকে বলত, যদি আমাকে তাড়িয়ে দেয় কী হবে? আমি বলেছিলাম, কেন তাড়াবে? তুই কেন ভয় পাচ্ছিস?' যদিও তাঁর জন্ম হাজরার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। তাঁর আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সবই রয়েছে। কিন্তু বাবার কোনও বৈধ নথি না থাকায় ভয়ে থাকতেন দেবাশিস। যে এলাকায় এই ঘটনা, সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী।
সিএএ-র আতঙ্কে আত্মহত্যার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। শাসকদলের অভিযোগ, 'মোদি সরকারের বিপর্যয়কারী সিদ্ধান্তের ফল।' মৃতের পরিবার জানাচ্ছে, 'নাগরিকত্ব চলে যাওয়ার আতঙ্কে ভুগছিলেন দেবাশিস। তার জেরেই আত্মহত্যা।' দেবাশিসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবে তৃণমূলের ৫ সদস্যের কমিটি। সুভাষগ্রামের নেতাজিনগরে যাচ্ছেন কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, সায়নী ঘোষ, অরূপ চক্রবর্তী ও নাদিমুল হক। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ বললেন, 'সিএএ নিয়ে সংখ্যাগুরুরাও যে আতঙ্কিত, তা প্রমাণিত।'
প্রতিক্রিয়া...
বিরোধিতা সত্ত্বেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন যে লাগু হবেই, সে ব্যাপারে একরকম প্রত্যয়ী ছিল বিজেপি। তাদের সর্বোচ্চ নেতারা বার বার জানিয়েছিলেন, সিএএ কার্যকর করা হবেই। বাস্তবে হলও তাই। লোকসভা ভোটের মুখে হঠাৎ বিজ্ঞপ্তি জারি করে গোটা দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। বিষয়টির কড়া প্রতিবাদ করেন তৃণমূলনেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, 'অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে বিজেপি, সাবধান থাকতে হবে। যে সিএএ কেন্দ্র ঘোষণা করেছে, তার বৈধতা নিয়ে সন্দেহ আছে। পুরোটাই ভাঁওতা, অধিকার কেড়ে নেওয়ার খেলা।' এদিনের ঘটনার পর তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। একদিকে তৃণমূল মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে আঙুল তুলেছে। যদিও, বিজেপি নেতা প্রণয় রায়ের দাবি, প্ররোচনা দেওয়া অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা উচিত। অন্য দিকে সিপিএম মনে করছে, সিএএ-কে ভয় দেখানোর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন অমিত শাহ-নিশীথ প্রামাণিকরা। সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য যেমন বলেন, 'মানসিক বিষাদ কোন পর্যায়ে গেলে মানুষ আত্মহত্যা করেন, সেটা মনোস্তত্ত্ববিদরা বলতে পারবেন। কিন্তু সিএএ-কে বাংলার মানুষকে ভয় দেখানোর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অমিত শাহ, নিশীথ প্রামাণিকরা এটিকে মানুষকে ভয় দেখানোর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। তবে এটি আত্মহত্যার কারণ কিনা, সেটি মনস্তত্ত্ববিদরা বলতে পারবেন। আমি বলতে পারব না।' যদি