Hanskhali Case Update: হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
আদালতের নজরদারিতে হবে সিবিআই তদন্ত, নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২ মে- মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: হাঁসখালিকাণ্ডে (Hanskhali Case Update) সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে আদালতের নজরদারিতে হবে সিবিআই তদন্ত। অবিলম্বে পুলিশকে হাঁসখালিকাণ্ডে নথি হস্তান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২ মে- মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে।
হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ: গত এক মাসের মধ্যে এই নিয়ে ৫টি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর এবার হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের মামলা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। জানানো হয়েছে, আদালতের পর্যবেক্ষণে এই তদন্ত চলবে। এই তদন্তের ক্ষেত্রে কী অগ্রগতি হল তা ২ মে-র মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে পেশ করতে হবে। এর পাশাপাশি বলা হয়েছে, প্রতিবেশী, মৃতার পরিবারের যাতে প্রশাসনের প্রতি আস্থা থাকে সেই কারণেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। এই সংক্রান্ত মামলায় পুলিশের হাতে যে যে নথি রয়েছে তা অবিলম্বে হস্তান্তরকরতে হবে সিবিআইয়ের হাতে। নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন আদালত জানায়, "পুলিশ যে তদন্ত করছে সেখানে কোথাও একটা তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। অভিযুক্ত শাসক দলের প্রভাবশালী নেতার ছেলে, চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না আদালত। কোথাও কোনও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নেই, সন্দেহের জায়গা তৈরি হয়। তথ্য লোপাট করা হয়েছে, এমন সন্দেহের জায়গা তৈরি হয়। বার্নিং ঘাটে দাহ, কিন্তু কোনও ডেথ সার্টিফিকেট নেই। গণধর্ষণের ঘটনা, পারিপার্শ্বিক বিষয় খতিয়ে দেখে আস্থা অর্জনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।''
কী ঘটেছে হাঁসখালিতে
নদিয়ার হাঁসখালিতে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বেশ কিছু দিন পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেই তথ্য সামনে আসে। পাশাপাশি নাবালিকার মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের আগেই ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মতোও মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। যে ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে। গণধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।