Primary Recruitment Case: ১০ দিনের মধ্যে ২০১৬ প্রাথমিক প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ! নয়তো?
Justice Abhijit Ganguly: ২০১৪ সালে হওয়া প্রাথমিকের TET-এর রেজাল্ট বের হয় ২০১৬ সালে। ফল নিয়ে মামলা করেন এক চাকরিপ্রার্থী।
সৌভিক মজুমদার, কমলকৃষ্ণ দে, অনির্বাণ বাগচী, কলকাতা: ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে প্য়ানেল। প্রাথমিক নিয়োগের (Primary Recruitment) মামলায় নয়া নির্দেশ হাইকোর্টের (High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। ২০১৬ সালের প্রাথমিকের প্রায় ৪৩ হাজার নিয়োগের জন্য এই নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। যদি আগেই প্যানেল প্রকাশিত হয়ে থাকে তাহলে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হাইকোর্টে পেশ করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্যানেলের হার্ড কপি ও সফট কপি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
২০১৪ সালে হওয়া প্রাথমিকের TET-এর রেজাল্ট বের হয় ২০১৬ সালে। তার থেকেও কম নম্বর পেয়েও, অনেকেই নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন এক চাকরিপ্রার্থী। সেই মামলাতেই এমন নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য় সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakrabarty) বলেন, 'ওই তালিকা আপনারা খুঁজে পাবেন না। ওই তালিকা দেওয়ার যোগ্যতা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের হবে না। টাকার বিনিময়ে চাকরি হয়েছে, কোনও তালিকার সঙ্গে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সবার নাম মিলবে না।'
যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সায়নী ঘোষ বলেন, 'আমরা সবসময় চাই যারা নায্য় যাদের পাওনা, যাদের দাবিদার, তারা সবসময় নিজেদের ভাগ পাবে, সেটা আমরা চাই।' ১৫ জানুয়ারির পর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
এর আগে...
সম্প্রতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন আন্দোলনরত SLST চাকরিাপ্রার্থীদের একাংশ। তখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে অপেক্ষায় থাকা চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছিলেন তিনি। তাঁদের পরামর্শও দিয়েছিলেন। তারপরে রাস্তায় বসে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিক। সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে সেদিন তিনি বলেছিলেন,'যাঁরা রাস্তায় বসে আছেন, তাঁরা আদালতে আসছেন না কেন? যাঁরা এতদিন রাস্তায় বসে আছেন, তাঁরা আদালতে আসছেন না কেন? ওঁদের মধ্যে থেকেই তো অনেকে আদালতে এসে চাকরি নিয়ে চলে গিয়েছেন। আমার মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে তাঁরা সকলে প্যানেলে, ওয়েটিং লিস্টে আছেন তো? তাঁদের কোনও কোনও রাইট ক্রিয়েট হয়েছে?' তিনি আরও বলেন, 'অনেকে তো আদালতে আসছেন। তাঁরা ওখানে বসে আছেন কেন? তাঁরা পিটিশন করে আদালতে আসুন না। তাঁরা সকলে প্যানেলে আছেন, লিস্টে আছেন তো?' বিচারপতি মন্তব্য, 'একটা পরীক্ষা হয়েছিল, তারপর প্যানেল তৈরি হয়েছিল, ওয়েটিং লিস্ট (Waiting List) তৈরি হয়েছে। তাঁদের যদি এত স্ট্রং রাইট থাকে তাঁরা তাহলে আদালতে আসছেন না কেন? তাঁরা পিটিশন করে আদালতে আসুন না। আপনাদের যদি রিলিফ প্রাপ্য থাকে তাহলে অবশ্যই পাবেন।'
আরও পড়ুন: খুশকি নিয়ে জেরবার? ঝরছে চুল? কী করবেন? পরামর্শ দিলেন ডাক্তার