Aniket Mahato : অনিকেতের বদলি-সিদ্ধান্ত খারিজ, পোস্টিং দিতে হবে আর জি কর মেডিক্যালেই, জানিয়ে দিল আদালত
Aniket Mahato Posting : অনিকেত মাহাতোকে আর জি কর মেডিক্যালেই পোস্টিং দিতে হবে। রাজ্যের বদলির সিদ্ধান্ত খারিজ করে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।

সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : আরজি কর আন্দোলনের মুখ, প্রতিবাদী চিকিৎসকদের পোস্টিং নিয়ে জুলাই মাসেই আদালতে ধাক্কা খায় রাজ্য সরকার। স্যাটে নয়, অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদার, আসফাকুল্লা নাইয়াদের আবেদনের শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টেই। রাজ্য সরকারের আর্জি খারিজ করে জানিয়ে দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না বলেও সেদিন নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এবার কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিল, চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোকে পোস্টিং দিতে হবে আর জি কর মেডিক্যালেই ! ফের একবার ধাক্কা খেল রাজ্য।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, অনিকেত মাহাতোকে অবিলম্বে পোস্টিং দিতে হবে আর জি করে। পোস্টিং বিতর্কে অনিকেত মাহাতোকে নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিলেন বিচারপতি। পোস্টিং বিতর্কে রাজ্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন অনিকেত মাহাতো সহ ৩ চিকিৎসক। আর. জি করের কলেজের পরিবর্তে অনিকেত মাহাতোকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে পোস্টিং দেওয়া হয়। মামলাকারী চিকিৎসকের অভিযোগ, গত ২৭ মে পোস্টিং সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়, তাতে তাঁর র্যাঙ্ক ছিল ২৪। আর জি কর হাসপাতালে অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগে ৪ টি শূন্যপদ ছিল। ১ টি শূন্যপদে মেধাতালিকায় অনিকেতের আগে থাকা একজন চিকিৎসককে নিয়োগ করা হয়। ২টি শূন্যপদে ২৬ এবং ৩৪ র্যাঙ্ক করা দুই চিকিৎসককে নিয়োগ করা হয়েছে। অথচ তিনি নিয়োগ পাননি।
মামলার শুনানি হয় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। জুলাই মাসে রাজ্য সরকার আবেদন করে, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা SAT-এর কাছে এই মামলা পাঠানো হোক। কিন্তু তা খারিজ করে দেন বিচারপতি। তারপর আজ, বুধবার বিচারপতি নির্দেশ দেন, চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোকে পোস্টিং দিতে হবে আর জি কর মেডিক্যালেই। এদিন নিজেদের সপক্ষে রাজ্য কোনও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেনি বলেই মনে করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। SOP কে মান্যতা না দিয়ে রাজ্য সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাকে অমান্য করতে পারে না, পর্যবেক্ষণে বলেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
অনিকেত ছাড়া আরও ২ প্রতিবাদী চিকিৎসকও মামলা করেছিলেন। অভিযোগ, কাউন্সেলিংয়ের সময় দেবাশিস হালদারকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে দেখানো হয়েছিল। মেধাতালিকা বেরোলে দেখা যায়, পোস্টিং অর্ডারে তাঁর নাম রয়েছে মালদার গাজোলে সাব ডিভিশনাল হাসপাতালে। আসফাকুল্লা নাইয়ার ক্ষেত্রেও কাউন্সেলিংয়ের সময় ছিল আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজের নাম। পোস্টিং অর্ডারে তা বদলে হয়েছে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো হাসপাতাল।






















