![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Higher Secondary Examination 2024 : হার না মানা জেদ, প্রসবযন্ত্রণা নিয়েই হাসপাতালে বসে উচ্চমাধ্যমিক দিলেন মাম্পি !
HS Examination South Dinajpur Story :স্কুলের শিক্ষকদের তৎপরতায় এবং বাবা-মায়ের সহযোগিতায় হাসপাতালে বেডে বসেই পরীক্ষা দেন মাম্পি খাতুন।
![Higher Secondary Examination 2024 : হার না মানা জেদ, প্রসবযন্ত্রণা নিয়েই হাসপাতালে বসে উচ্চমাধ্যমিক দিলেন মাম্পি ! Higher Secondary Examination 2024 South Dinajpur Woman Takes Examination At Hospital After Facing Labor Pain Higher Secondary Examination 2024 : হার না মানা জেদ, প্রসবযন্ত্রণা নিয়েই হাসপাতালে বসে উচ্চমাধ্যমিক দিলেন মাম্পি !](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/02/21/cb8f5fdb67ddc635ed30a171983ad3f3170851189866453_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
চঞ্চল মজুমদার, দক্ষিণ দিনাজপুর : এ যেন হার না মানা জেদ। দিনকয়েক আগেই উত্তর ২৪ পরগনার ( North 24 Pargana ) উচ্চমাধ্যমিক ( HS Exam ) পরীক্ষার্থী নাজমার কথা তুলে ধরা হয়েছিল। আর এবার সকলের মন কাড়ল মাম্পির জেদ। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনই সন্তানসম্ভবা নাজমা সন্তানের জন্ম দেন। উচ্চমাধ্যমিকের মাঝেই সন্তানের জন্ম দেন নাজমা। তারপর দিনই হাসপাতালের এইচডিইউ থেকে পরীক্ষা দেন তিনি। আর দক্ষিণ দিনাজপুরের মাম্পিও পরীক্ষা দিলেন হাসপাতাল থেকে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের ( South Dinajpur ) মাম্পি খাতুন । বাড়ি বংশী ব্লকের ল্যাংড়া পীর এলাকায় । সন্তানসম্ভবা মাম্পি হাসপাতালে বসে প্রসব বেদনা নিয়েই দিলেন পরীক্ষা । পড়াশোনা করার ও পরীক্ষা দেওয়ার অদম্য ইচ্ছে ধরা পড়ল মাম্পির প্রচেষ্টায়। এক বছর আগে বিয়ে হয় মাম্পি খাতুনের । তারপরই গর্ভে সন্তান আসে। বংশীহারীর সুদর্শন নগর উচ্চ বিদ্যলয়ের ছাত্রী মাম্পি খাতুন । হঠাৎ মঙ্গলবার রাতে প্রসব বেদনা ওঠে তাঁর। পরদিন সকালেই তাঁকে ভর্তি করা হয় রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। বাবা মোহাম্মদ আলী পেশায় কৃষিজীবী। মা শেফালী গৃহবধূ। শরীরের অবস্থা একটু থিতু হলে মাম্পি পরীক্ষা দিতে চান। স্কুলের শিক্ষকদের তৎপরতায় এবং বাবা-মায়ের সহযোগিতায় হাসপাতালে বেডে বসেই পরীক্ষা দেন মাম্পি খাতুন।
বুধবার ছিল 'এডুকেশন' বিষয়ের পরীক্ষা। হাসপাতালের বেডে বসেই পরীক্ষা দিতে পেরে খুব খুশি হন মাম্পি । তিনি জানিয়েছেন শিক্ষক এবং পরিবার তাঁর পাশে ছিল বলেই তিনি মনোবল পেয়েছেন। পরীক্ষাও ভালই হয়েছে বলে তিনি জানান। মাম্পি খাতুনের মা শেফালী জানিয়েছেন, মেয়ের আত্মবিশ্বাস ছিল বলেই পরীক্ষা দিতে পেরেছে।
কিছুদিন আগেই উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ব্লকের ঘাট বাওড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিরা গ্রামের বাসিন্দা নাজমার সঙ্গেও অনুরূপ ঘটনা ঘটে। তাঁর স্বামী সাহিল মণ্ডল। সন্তানসম্ভবা অবস্থায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেন নাজমা। প্রথম দিনের পরীক্ষার সময় ছিলেন এক্কেবারে সুস্থ। প্রথমপত্রের পরীক্ষাও দেন বেশ ভালই। শনিবার তাঁর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকলে নাজমাকে নিয়ে পৌঁছন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই রবিবার তাঁর সন্তানের জন্ম হয় সি-সেকশন করেই। কোলে আসে পুত্র সন্তান । তাকে পাশে রেখেই HDU থেকে সোমবারের পরীক্ষা দেন নাজমা।
নাজমা বা মাম্পির মতো তরুণীর এই জেদ অনেককেই অনুপ্রেরণা জোগাবে।
আরও পড়ুন :
'জোর করে নিশীথকে কোচবিহারবাসীর ঘাড়ে' BJP র অন্দরের নথি সামনে এনে উদয়নের চাঞ্চল্যকর পোস্ট
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)