Visva Bharti : বিশ্ববিদ্যালয়ে হল না বসন্ত উৎসব তবুও রঙিন হল শান্তনিকেতন, উড়ল ফাগ
Holi 2023: দোলের দিন শান্তিনিকেতন বিবর্ণ রইল না। বিশ্বভারতীতে বসন্তোৎসব বন্ধ হলেও, রঙের উৎসবে মেতেছে শান্তিনিকেতন।
বীরভূম: গতবারের মতো এবারও দোলে বিশ্বভারতী ( Visva Bharti University ) ) ক্যাম্পাসে সাধারণের জন্য বসন্ত উৎসব ( Basanta Utsav ) হল না। পরিবর্তে এবার শান্তিনিকেতনে ( Shantiniketan ) বসন্ত বন্দনার আয়োজন করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বসন্ত বন্দনা হয়েছে ৩ মার্চ। সাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবু দোলের দিন শান্তিনিকেতন বিবর্ণ রইল না। বিশ্বভারতীতে বসন্তোৎসব বন্ধ হলেও, রঙের উৎসবে মেতেছে শান্তিনিকেতন।
রঙিন শান্তিনিকেতন
সোনাঝুরিতে ( Sonajhuri ) শুরু হয়েছে বসন্তোৎসব। দেশ, বিদেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটকরা ভিড় করেছেন। পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি, বোলপুর পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডে জমিয়ে চলছে দোল খেলা।
উপাচার্য মন্তব্যে বিতর্ক
বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব নিয়ে কয়েকদিন আগেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন উপাচার্য। তিনি বলেন, 'বিশ্বভারতী অল্পশিক্ষিত এবং অর্ধশিক্ষিত লোকজনে ভরে গিয়েছে। বসন্ত উৎসবের নামে বসন্ত-তাণ্ডব বন্ধ করে দিয়েছি। বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠান জনতার জন্য নয়।' উপাচার্য আরও বলেন, ' প্রথা ভেঙে বসন্ত উৎসব করা হল না। অর্থাৎ যাঁরা প্রথার কথা বলেন, তাঁরা বসন্ত উৎসবের মাধ্য়মে বসন্ত তাণ্ডব চান। আমরা সেই বসন্ত তাণ্ডবের পক্ষপাতী নই। আমাদের পাঠভবনের ছেলেমেয়েরা বসন্ত আবাহন করেছে। আমরা বসন্ত বন্দনা করব।...এটা বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠান। জনতার জন্য় নয়। ' তাঁর মতে, বিশ্বভারতী অশিক্ষিত অল্পশিক্ষিত লোকে ভরে গেছে। অশিক্ষিত লোকেদের আমি দোষ দিই না কারণ তাদের শিক্ষা দেওয়া যায়, তারা শোনে। কিন্তু যারা অল্প শিক্ষিত তারা খুব ক্ষতিকারক। '
অন্যদিকে, আশ্রমিকদের অভিযোগ, এভাবেই ধীরে ধীরে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি লোপ পাচ্ছে। এই নিয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি মন্তব্য এড়িয়েছেন।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দোল পূর্ণিমায় বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেনি গতবারও। ২০২২ এও বিশ্বভারতীর উদ্যোগে বসন্ত উৎসব উদযাপন হয়নি শান্তিনিকেতনে। বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা নিজেরাই ক্যাম্পাসে নাচে, গানে, আবির খেলায় মেতে ওঠেন। আর সেখান থেকে ওঠে উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্লোগান।