Hollong Bungalow Fire: দমকলের সুপারিশ মানেনি বনদফতর? অগ্নিকাণ্ডের আগে হলং-এ ঘরে আলো কেন?
Hollong tourist Lodge Fire:বন দফতর সূত্রে খবর, ১৫ জুন হলং বন বাংলোয় শেষ বুকিং ছিল। বর্ষার জন্য সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ বাংলো। তাহলে আলো জ্বলছিল কেন?
আলিপুরদুয়ার: রাজ্যের ঐতিহ্যশালী হলং বন বাংলোয় অগ্নিকাণ্ড ঘিরে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। যার অধিকাংশের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখল বনদফতরের বিশেষ তদন্তকারী দল।
মঙ্গলবার রাতে আচমকা আগুন লেগে যায় আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ঐতিহ্যবাহী এই বাংলোয়। রাতারাতি ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা বাড়িটা। হলং বাংলোয় কীভাবে আগুন লাগল? মূল যে দুটি প্রশ্ন উঠে এসেছে- সেদুটি হল
১. পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকা বাংলোয় কেন AC চলছিল?
২. নিছকই দুর্ঘটনা নাকি গাফিলতির জেরেই পুড়ে ছাই হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী বাংলো?
প্রশ্ন দমকলের তরফেও:
প্রশ্ন উঠেছে দমকলের তরফেও। '২০২৩-এই ফায়ার অডিট হয়েছিল হলং বনবাংলোর। অনেক কিছুই সুপারিশ করে পাঠানো হয়েছিল বন দফতরে। মানা হয়নি অধিকাংশ সুপারিশ', প্রাথমিক অনুমান দমকলের, খবর সূত্রের। কী ছিল বনবাংলোর কর্মীদের ভূমিকা? খতিয়ে দেখছে দমকল, খবর সূত্রের।
আগুনের কারণ হিসেবে শর্ট সার্কিটের তত্ত্বই খাড়া করছে বন দফতর। বন্যপ্রাণ বিভাগের মুখ্য বনপাল দেবল রায় বলেন, 'শট সার্কিটের ফলেই আগুন লেগেছে এবং ফরেন্সিক দল এসে নমুনা সংগ্ৰহ করেছে। বাংলো দেখার জন্য তিনজন কর্মী আছে এছাড়া সেদিন দুজন রেঞ্জ অফিসার ছিল কিন্তু তারা অনেক চেষ্টা করেছে, রক্ষা হয়নি। কারণ বাংলো ঘর বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে রেঞ্জ অফিসারা দরজা ভেঙে প্রবেশ করে।'
বন দফতর সূত্রে খবর, ১৫ জুন হলং বন বাংলোয় শেষ বুকিং ছিল। বর্ষার জন্য সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ বাংলো। পর্যটক না থাকা সত্ত্বেও কেন চলছিল AC? এমনিতেও টানা বৃষ্টির জেরে আবহাওয়া যথেষ্ট ঠান্ডা ছিল। তাহলে কি শর্ট সার্কিটের তত্ত্ব খাড়া করে আসল কারণ লুকোনোর চেষ্টা করা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলছে স্থানীয়দের একাংশ।
চক্রান্তের গন্ধ:
হলং অগ্নিকান্ডে চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকেই। এক গাড়ি চালক বলেন, 'ac চলবে কেনো এই ওয়েদারে, খালি ঘরে তো ভূত থাকবে না তো? vip যখন ইচ্ছা আসতে পারে যেতেও পারে। চুপচাপ এসে চলে যায়।' স্থানীয়রা বলছেন, পর্যটকদের জন্য বাংলো বন্ধ থাকলেও ভিআইপিদের জন্য সবসময় খোলা থাকত বন বাংলোর দরজা। ওই সময় বাংলোর ঘরে আলো জ্বলতে দেখা গেছে বলে, দাবি করেছেন জলদাপাড়া ন্যাশনাল পার্কের চেকপোস্টের এক কর্মী। ওই কর্মী রাজা রাম ভক্ত বলেন, 'শেষ পর্যটক ১৫ তারিখ বেরিয়ে গেছে। আলো কেনো জ্বলছিল বলতে পারব না।' বন দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ আগুন দেখতে পান এক কর্মী। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ দাবি করেছে, দমকল এসে পৌঁছয় প্রায় দেড় ঘণ্টা পর, ততক্ষণে প্রায় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বন বাংলো।
বৃহস্পতিবার ভস্মীভূত হলং বাংলো পরিদর্শন করতে গেলে বাধার মুখে পড়ে ফিরতে হয় আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গাকে। তিনি বলেন, 'অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থলে সংবাদ মাধ্যমকেও কেন যেতে দেওয়া হল না, তাহলে কি বন দফতর কিছু লুকোতে চাইছে। ষড়যন্ত্র না নাশকতা তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।' ইতিমধ্যেই ফালাকাটা থানায় অ়জ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে বন দফতর। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে বনদফতরের বিশেষ তদন্তকারী দল। নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক টিম।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: প্রবল গরমের দোসর বার্ড ফ্লু আশঙ্কা! অন্তঃসত্ত্বারা খেয়াল রাখবেন কী কী? জানাচ্ছেন চিকিৎসক