(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Madhyamik 2023: বাড়িতে অ্যাডমিট ভুলে অঝোরে কান্না, রাস্তায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মুশকিল আসান 'পুলিশ কাকু'
Hooghly News: ব্যান্ডেল লিচু বাগান এলাকার বাসিন্দা হুগলি গার্লস স্কুলের ছাত্রী তনিষ্ঠা কুন্ডু এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা দিচ্ছে চুঁচুড়া কাপাস ডাঙার সতীন সেন উচ্চ বিদ্যালয়ে।
সোমনাথ মিত্র, ব্যান্ডেল: ফের মাধ্যমিক (Madhyamik 2023) পরীক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালেন পুলিশকর্মী। পুলিশের সাহায্যে বাড়িতে ফেলে আসা অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করল পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষার্থীর পাশে পুলিশকর্মী: ব্যান্ডেল লিচু বাগান এলাকার বাসিন্দা হুগলি গার্লস স্কুলের ছাত্রী তনিষ্ঠা কুন্ডু এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা দিচ্ছে চুঁচুড়া কাপাস ডাঙার সতীন সেন উচ্চ বিদ্যালয়ে। এদিন ছিল মাধ্যমিকের জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে দেখে ব্যাগে অ্যাডমিট নেই। ঘাবড়ে গিয়ে কান্না জুড়ে দেয় ছাত্রী। পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে দায়িত্বে থাকা চুঁচুড়া থানার ASI হিমাদ্রি চক্রবর্তী এগিয়ে আসেন। এক মুহূর্ত দেরি না করে ছাত্রীকে নিয়ে বাইকে চাপিয়ে তার বাড়িতে রওনা দেন। অ্যাডমিট নিয়ে ছাত্রীকে সঠিক সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেন ওই পরীক্ষার্থী। পুলিশ কর্মীর তৎপরতায় ওই ছাত্রী সময়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেলেন। ঘটনায় পঞ্চমুখ এলাকার বাসিন্দারা।
ASI হিমাদ্রী চক্রবর্তী বলেন, “পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট আনতে ভুলে গিয়েছিল। টোটো বা অটো পাচ্ছিল না। তাই আমি ওকে নিয়ে গিয়ে বাড়ি থেকে অ্যাডমিট নিয়ে এসে সাহায্য করলাম। এটা আমার কর্তব্য তাই আমি করেছি। মানুষকে সাহায্য করাটাই পুলিশের সব থেকে বড় ধর্ম। এবং আমরা সব সময় পুলিশের পাশে আছি।’’ পরীক্ষার্থীর মা শুক্লা কুন্ডু বলেন, “একমাত্র পুলিশের জন্যেই আমার মেয়ে পরীক্ষা দিতে পারল। না হলে মাঝপথেই ওকে পরীক্ষাটা ছাড়তে হত। তাই ওঁকে ধন্যবাদ জানাই।’’
এদিকে ফের কলকাতা পুলিশের মানবিক মুখ দেখল শহরবাসী। হাসপাতালে ভর্তি পরীক্ষার্থীকে গ্রিন করিডর করে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিল পুলিশ। লিভারের সমস্যা নিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে রুবি হাসপাতালে ভর্তি সৌমাশিস দত্ত। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে CBSE-র ক্লাস টেনের পরীক্ষা। পরিবার একপ্রকার ধরেই নিয়েছিল, ছেলে এবছর পরীক্ষা দিতে পারবে না। কিন্তু হাসপাতালের বেডে শুয়েই বাবার কাছে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করে সৌমাশিস।
পরিবারের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে, যোগাযোগ করা হয় কসবা ট্রাফিক গার্ডের সঙ্গে। সৌমাশিসের সিট পড়েছিল বালিগঞ্জের সাউথ পয়েন্ট স্কুলে। লালবাজারের সঙ্গে কথা বলে, পরীক্ষা দিতে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন কসবা ট্রাফিক গার্ডের ওসি অমরেশ ঘোষ। কসবা ট্রাফিক গার্ডের ওসির সঙ্গে সাউথ ইস্ট ট্রাফিক গার্ডের ওসি আশিস রায়ের সমন্বয় তৈরি হয়। এরপর হাসপাতালের ঠিক করে দেওয়া অ্যাম্বুল্যান্সে সৌমাশিসকে নিয়ে রওনা দেয় পরিবার। গ্রিন করিডর করে নিয়ে যাওয়া হয় অসুস্থ পরীক্ষার্থীকে। প্রথমে অ্যাম্বুল্যান্সটিকে এসকর্ট করেন কসবা ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট সুজয় কুমার সাহা। এরপর এসকর্ট করে নিয়ে যান ট্রাফিক সার্জেন্ট দেবজ্যোতি বিশ্বাস। ১০ মিনিটের মধ্যে রুবি হাসপাতাল থেকে নির্দিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয় ছাত্রটিকে। কলকাতা পুলিশকে এর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে সৌমাশিসের পরিবার।
আরও পড়ুন: Bratya Basu: রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্ক নিয়ে অতীতের পুনরাবৃত্তি আর হবে না : ব্রাত্য বসু