Baidyabati Municipality : কার্তিক ফেলে পুরসভার প্যাডে টাকা দাবি করে চিঠি TMC কাউন্সিলরের ! তোলাবাজির অভিযোগ ঘিরে শোরগোল বৈদ্যবাটিতে
TMC Councilor: অন্যের বাড়িতে কার্তিক ফেলে টাকা চাওয়ার চিঠি পোস্ট করলেন খোদ কাউন্সিলরই।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় : এবার বাড়িতে কার্তিক ফেলে তোলাবাজির অভিযোগ ! বিতর্কে বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৯ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পৌষালি ভট্টাচার্য। কার্তিক ফেলে পুরসভার প্যাডে টাকা দাবি করে চিঠি কাউন্সিলরের। অন্যের বাড়িতে কার্তিক ফেলে টাকা চাওয়ার চিঠি পোস্ট করলেন খোদ কাউন্সিলরই। কীভাবে পুরসভার প্যাড ব্যবহার? প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। 'কাউন্সিলরের প্যাড পুরসভার কাজে ব্যবহার করার জন্য।' বললেন বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পৌষালি ভট্টাচার্য শ্যামল মাইতি নামে স্থানীয় একজনের বাড়িতে কার্তিক ফেলেন তাঁর লোকজন নিয়ে। কার্তিক ঠাকুরের সঙ্গে দেওয়া একটি চিঠি ঘিরে বিতর্ক দেখা দেয়। যা লেখা হয়েছে কাউন্সিলরের প্যাডে। সেখানে লেখা রয়েছে, পুরসভা অনুমোদিত। কাউন্সিলর নিজেই ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। পোস্ট হতেই শুরু হয় বিতর্ক। এইভাবে পুরসভার প্যাডে এই ধরনের কাজ করা যায় কি না তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ বৈদ্যবাটি পুরসভা। এ প্রসঙ্গে বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো বলেন, "কেন উনি করেছেন সেটা জানতে চাইব। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের কাজ আর না হয়, সেটা নিয়ে তাঁকে সাবধান করে দেব। আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখি।"
যদিও এনিয়ে সাফাই হিসাবে ওই কাউন্সিলর পৌষালি ভট্টাচার্য বলেন, "অনিচ্ছাকৃত ভুল। কার্তিক সব জায়গায় মানুষ ফেলে। যে কোনো প্রাণের বন্ধু-বান্ধব...এটাই তো লিখেছি। যে, কাকুরা-কাকিমারা ফেলেছে। ২০০০ টাকা কার্তিকের দাম স্বরূপ দিয়ে দাও। আমরা অন্য কোনো ব্যক্তির কাছে চাইনি। যে আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ...আমাদের তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের সদস্য...আমাদের যুবর সভাপতি...তাঁর কাছে আমরা দাবি করেছি।"
এই নিয়ে অবশ্য সুর চড়াতে ছাড়েনি বিরোধী দল বিজেপি। বিজেপির যুবমোর্চার মুখপাত্র হরি মিশ্র বলেন, "তৃণমূল সবকিছু পারে। এমন জায়গায় পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতিকে নিয়ে আসছে যে কার্তিক ভগবানকেও কাটমানি হিসাবে উনি ধরে নিয়েছেন। নিজের দলে টেনে নিয়েছেন। কার্তিক ভগবান পুজো কী হয়...আমরা অন্য বাড়িতে ফেলি...পুজো হয় সন্তানের জন্য...এখানে কাউন্সিলরের প্যাডে লেখা হচ্ছে আমাকে ২৪০০ টাকা দাও। ভাবছেন, কোন জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসকে নিয়ে যাচ্ছে।"
যদিও এই বিষয়ে চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা নিছকই নিজেদের বন্ধুদের মধ্যে মশকরা করতে গিয়ে ঘটেছে। এর মধ্যেও বিরোধীরা রাজনীতি খোঁজার চেষ্টা করছে। তবে পুরসভার প্যাড ব্যবহার করা উচিত হয়নি। সেই দিকে নজর দেওয়া হবে। যাতে আগামীতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে।